ত্রিপুরা
img

দেশি মদের রমরমা ব্যবসা পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ !

আনন্দবাজার রাজনগর কলোনিতে দেশি মদের রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় রাবার বাগানের ভেতরে একাধিক দেশি মদের কারখানা দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চলছে। এখান থেকে উৎপাদিত মদ উত্তর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হচ্ছে প্রতিদিন।এই অবৈধ ব্যবসার কারণে অসংখ্য পরিবার ধ্বংসের পথে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ এলাকার বহু যুবক প্রতিদিন এই মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে।সবচেয়ে চাঞ্চল্যের বিষয়, স্থানীয়দের অভিযোগ—এই ব্যবসার পেছনে ধর্মনগর থানার এক প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। তিনি নাকি মাসে মোটা অংকের বিনিময়ে এই অবৈধ ব্যবসা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। যদিও থানা স্তরের কর্তারা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি, তবে অভিযোগের তীর উঠেছে থানার ভেতর থেকেই। উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে ধর্মনগর থানা পুলিশ একবার ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশি মদের কারখানা ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো অভিযান চালানো হয়নি। স্থানীয়দের প্রশ্ন—কেন পুলিশ চোখ মুজে রয়েছে? মহকুমা পুলিশ আধিকারিক  পর্যন্ত যেন এ বিষয়ে অজ্ঞতার ভান করছেন। অনেকের বক্তব্য, "এ যেন সর্ষের মধ্যে ভূত।"অন্যদিকে, গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরাও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।এশিয়ান টাইমস টিভি চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় এই দেশি মদের কারখানার একাধিক ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। প্রকাশ্যে এসেছে, কীভাবে রাবার বাগানের ভেতরে দিনরাত দেশি মদ তৈরি হচ্ছে এবং খোলা বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে। তাই জনসম্মুখে তুলে ধরা হলো সেই ভিডিও ফুটেজ, যাতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং সমাজকে এই সর্বনাশা ব্যবসার হাত থেকে রক্ষা করেন।