বিদেশ
img

রাইসা মনিকে খুঁজছে তার মা বাবা

১২ জুন, ২১ জুলাই। এক মাস পেরিয়ে কয়েকদিন। দুই দেশে দুই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। হাহাকার, মৃত্যু মিছিল। আশ্চর্যজনকভাবে দুই দুর্ঘটনা মিলে গেল এক জায়গায়।পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে সোমবার উত্তরায় এলাকার মাইলস্টোন স্কুলে ভেঙে পড়ে বিমান । দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে  বহু পড়ুয়ার। এখনো পর্যন্ত অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তেমনি আট বছরের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাইসা মনিকে খুঁজছে তার বাবা-মা। সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তার মেয়েকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।



 ১২ জুন ঘটেছিল আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আবার,২১ জুলাই, ঢাকা বিমান দুর্ঘটনা। সোমবার ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ বিমানটি একটি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে। সোমবার দুপুরে ১টা ৬ মিনিটে উড়ানের পরেই ঢাকার উত্তরায় এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাসে বিমানটি ভেঙে পড়ে। সেই সময় স্কুলে ছিল পড়ুয়ারা। ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।। একজন বিমান চালক, দু’ জন শিক্ষক, ২৮ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।ঘটনার পরের ছবিও এক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে খোঁজ, খোঁজ হাসপাতালের বাইরে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের দেহ এমনভাবে ঝলসে গিয়েছিল, তার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করায় হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। ওই পরীক্ষার পরে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। ঢাকাতেও মৃত্যু মিছিল। হাসপাতালের সামনে হাহাকার, অপেক্ষা। বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মোট ১৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী   রাইসা মনিকে এখনো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি উদ্ধারকারীরা এমনকি রাইসা মনির বাবা ঘটনার পর থেকে তন্ন তন্ন করে সমস্ত জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কিন্তু উনার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। মাইলস্টোন স্কুল থেকে শুরু করে উত্তরিয়া হাসপাতাল বান ওয়ার্ড এবং সি এস এম এ হাসপাতাল খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কিন্তু রাইসা মনিকে এখনো পাওয়া যায়নি।সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তিনি বলেন প্রত্যেকদিন তিনি তার মেয়েকে স্কুলে দিয়ে যান এবং স্কুল  থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। দুর্ঘটনার দিনও যখন স্কুলে দিতে আসে তখন রিক্সা থেকে নামার পথে ছাত্রী তার বাবাকে বলেছিল স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আসলেন মেয়েকে নেওয়ার জন্য আর নিয়ে যেতে পারলেন না। তিনি কান্না গ্রস্ত অবস্থায় বলছেন তাঁর মেয়েকে তিনি না খাইয়ে দিলে মেয়ে কিছুই খেত না।  রাতে মেয়েকে শেষবারের মতো খাইয়ে দিয়েছিলেন সকালে আর খাওয়াতে পারেননি।সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্ত হয়ে তিনি  বাংলাদেশ সরকার এবং দেশবাসীর কাছে কাতর  আবেদন করছেন যেন সকলে মিলে তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে তার কাছে ফিরিয়ে দেন। তিনি বলছেন তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন না মেয়েকে না নিয়ে। মেয়েকে নিয়ে যেতে না পারলেও মেয়ের কাফন টুকু দেখে যেতে চান তিনি।