স্বাস্থ্য
img

সর্দি-কাশি এড়াতে এই মরশুমের ডায়েট

নিজস্ব প্রতিনিধি:- ঠান্ডা মরসুম মানেই সর্দি-কাশি। বারোমাসের এই সমস্যা শীত এলেই আরও জাঁকিয়ে বসে। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। এই অবস্থায় শুধু গাদা গাদা  ঔষধের উপর ভরসা রাখলে চলবে না। এই ৭ খাবারও রোজ খেতে হবে।


শীতকাল মানেই কমলালেবুর সম্ভার। কমলালেবুর সঙ্গে পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবুও খান। এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিবডি ও রক্তকণিকা গঠনে সাহায্যে করে। লেবুজাতীয় ফল দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।


প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, র‍্যাশবেরির মতো ফল রাখুন। এতেও ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ চাপ ও প্রদাহ কমায়। এছাড়াও এতে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।


এক কোয়া রসুন রোজ খান। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


খাবারে হলুদ মেশাতে ভুলবেন না। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ দেহে প্রদাহ কমায় এবং ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত করে। এই মশলা গাঁটের ব্যথা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি হলুদ দেহে অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান হিসেবে কাজ করে।


শীতকালেও দই খাওয়া দরকার। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে।


শীতকালে পালং শাক খেতে ভুলবেন না। এই শাকের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ফোলেট ও ফাইবার রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে তোলে।


রোজ সকালে ৫-৬টা ভেজানো আমন্ড খান। এতে ভিটামিন ই রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। রোজ আমন্ড খেলে কোনও রোগই আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না।