
নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিনিধি:- ত্রিপুরার ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয়। সুদীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর। জাতীয় সিনিয়র ক্রিকেটের মূলপর্বে পৌঁছে গেলো ত্রিপুরা। ২০ জানুয়ারি থেকে বরোদায় শুরু হবে নকআউট পর্বের আসর। ওই আসরে খেলার ছাড়পত্র ১ ম্যাচে আগেই হাসিল করে নিলেন অন্নপূর্ণা দাসের দল। যা ত্রিপুরার ক্রিকেটের ইতিহাসে নজীর। ২০১১ সালে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও ১ ম্যাচ আগে নিশ্চিত হতে পারেনি। যা এবার করে দেখালেন মৌচৈতি দেবনাথ-রা। রবিবার বারবাটি স্টেডিয়ামে লো স্কোরিং ম্যাচে ত্রিপুরাকে জয় এনে দিতে মূখ্য ভূমিকা নেন সুরভি রায় এবং ঋজু সাহা। বল হাতে সুরভি অল্প রানে ঝাড়খন্ডকে রুখে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে ঋজু সাহা দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে প্রায় হারা ম্যাচে জয় এনে দেন ত্রিপুরাকে। যা এককথায় প্রশংসনীয়। বারবাটির উইকেট ছিলো জোরে বোলারদের সহায়ক। যা দু-দলের জোরে বোলাররাই প্রমান করলেন। ওই জায়গায় দাড়িয়ে ঋজু যে ভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করলেন তা ছিলো অকল্পনীয়। ঝাড়খন্ডের গড়া ৭১ রানের জবাবে ত্রিপুরা ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ত্রিপুরার সুরভি রায় বল হাতে ৫ উইকেট এবং ঋজু চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাট করে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। আসরে ৬ ম্যাচ খেলে সবকটি ম্যাচে জয় পেয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে নকআউটে খেলার রাস্তা পরিস্কার করে নেয় ত্রিপুরা। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে ঝাড়খন্ডের অধিনায়িকা নিহারীকা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ত্রিপুরার দুই জোরে বোলার প্রীয়াঙ্কা আচার্য এবং সুরভি রায় শুরু থেকেই স্ট্রিম রোলার চাপান ঝাড়খন্ডের ব্যাটসম্যানদের উপর। ওই দুই বোলারের দাপটে শুরু থেকেই খাদের ইকনারায় চলে যায় ঝাড়খন্ড। বল হাতে আক্রমণে নেতৃত্ব দেন সুরভি। ঝাড়খন্ড ৩৪.৪ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৭১ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে মনিকা ৬৫ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ এবং খুশবো কুমারী ২৩ বল খেলে ১২ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানে পা রাখতে পারেননি। এছাড়া দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৬ রান। ত্রিপুরার পক্ষে সুরভি রায় ১৬ রানে ৫ টি এবং প্রীয়াঙ্কা আচার্য ১৩ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে ত্রিপুরা ৩২.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ঝাড়খন্ডের পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই বেকায়দায় পড়ে যায় ত্রিপুরা। দ্রুত যখন উইকেট হারাতে থাকে তখন একসময় ঋজু-র সঙ্গে হেনা হটচান্দিনী কিছুটা রুখে দাড়ান। হেনা ১৮ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রান করেন। একসময় ৬২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ত্রিপুরা যখন পরাজয়ের দোরগোড়ায় ছিলো তখন ঋজু যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় ত্রিপুরাকে। শেষ পর্যন্ত ৭৬ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ঋজু ১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। ঝাড়খন্ডের পক্ষে আর্তি ১১ রানে ৪ টি এবং শান্তি কুমারী ২৪ রানে ৩ টি উইকেট দখল করেন।