
ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের প্রয়াত ছাত্রী দীপান্বিতা পালের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ।মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী দীপান্বিতার পিতার কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শোনেন ।তার মেডিকেল রিপোর্টও দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন দীপান্বিতার মার সাথেও ।প্রয়াত দীপান্বিতার শোকার্ত মা বাবা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান ,জেলাশাসক এবং শিক্ষা আধিকারিকের রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি ।দীপান্বিতার মেডিকেল রিপোর্টও তিনি ডেকেছেন ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাই সাহায্য করা হোক না কেন ,দীপান্বিতা কে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি জানান ,এই পরিবারটির পাশে থাকবেন তিনি।উল্লেখ্য গত ৯ নভেম্বর বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের যোগ দিয়েছিল ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী দীপান্বিতা পাল ।প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি এক শিক্ষিকাকে সে জানিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষিকা এতে আমল দেননি ।পরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে দীপান্বিতা ।তাকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।চিকিৎসকরা জানান, সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে দীপান্বিতা ।জিবি হাসপাতালে সাত দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দীপান্বিতা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।