ত্রিপুরা
img

নয় বনমালীপুরে ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী পালিত

ভারতের লৌহমানবী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী নয় বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে। এমবিবি কলেজ রোডে আয়োজিত এই স্মরণসভাটি এদিন পরিণত হয় কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের এক আবেগঘন কর্মসূচিতে । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয় বনমালীপুরের বিধায়ক ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গোপালচন্দ্র রায় । এছাড়াও যুব সংগঠনের পক্ষে ছিলেন যুবনেতা ধীমান রায় এবং অনিমেষ দাস। ​এদিনের কর্মসূচিতে  বিধায়ক গোপালচন্দ্র রায় ইন্দিরা গান্ধীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দেশের প্রতি তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯১৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করে ইন্দিরা গান্ধী কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি, বরং এক নতুন ভারতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। বিশেষত ব্যাংক রাষ্ট্রীয়করণের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এবং 'গরিবী হটাবার' জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে তিনি দেশের দরিদ্রতম মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এক গভীর ছাপ রেখে যান। গোপাল রায়ের বক্তব্যে ​আলোচনার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং বর্তমান সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা। বিধায়ক রায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ইন্দিরা গান্ধীর অসামান্য ভূমিকার কথা। তিনি পাকিস্তানকে চূড়ান্তভাবে পরাভূত করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিকে মুক্ত করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের শাসনভার অর্পণ করেন। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন, "যে স্বাধীনতা  ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন, দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রনেতৃত্ব আজ সেই স্বাধীনতার মর্যাদা রাখতে পারছে না। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।" গোপাল রায় দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন, এই অস্থির সময়েও ইন্দিরা গান্ধীর আদর্শ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আজও দেশের প্রগতির যাত্রাকে সুগম করা সম্ভব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা যায়। এই জন্মবার্ষিকী পালন কার্যত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হলো এদিন।