
ব্যাংক থেকে আগরতলা পৌর নিগমের ১৬ কোটি টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তের দাবী জানালো প্রদেশ কংগ্রেস ।এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি জানান প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী।
আগরতলা পৌর নিগমের ১৬ কোটি টাকা ব্যাংক জালিয়াতি কাণ্ডের সত্য উদঘাটনের জন্য দাবি জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি জানান প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী ।সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার আগে মানুষ ব্যাংক জালিয়াতি এবং সাইবার অপরাধের ঘটনা খুব কমই শুনত ।মাঝে মাঝে ব্যাংক ডাকাতির কথা শুনত। কিন্তু এখন ব্যাংক জালিয়াতি এবং সাইবার অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।সংসদের তথ্য পেশ করে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী জানান ,২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ডিজিটাল প্রতারণার সংখ্যা ২৪ লক্ষ এবং এই সমস্ত ঘটনায় ৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা হাফিজ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি আর ডিজিটাল প্রতারণার সংখ্যা ছিল কুড়ি লক্ষ এবং এতে ২৫৫৩ কোটি টাকা হাফিজ হয়ে গেছে ।বর্তমানে অর্থ লোপাট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।ত্রিপুরা রাজ্যে বিচারক থেকে শুরু করে পেনশনারদের ব্যাঙ্কে রাখা টাকা হাফিজ হয়ে যাচ্ছে ।আগরতলা পৌর নিগমের ১৬ কোটি টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন ,ঘটনাটি ব্যাংক জালিয়াতি হোক বা আগরতলা পৌর নিগমের গিফট যাই হোক না কেন এর সাথে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শন জড়িত। ব্যাংক জালিয়াতি কাণ্ডে সরকার এখনো তথ্য উদঘাটন করছে না। অপরদিকে ১৬ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেলেও নিগম কর্তৃপক্ষ এখনো অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করেনি ।এর পেছনে রহস্য কি তা জানতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস। তিনি বলেন ,এই টাকা এএমসির ব্যক্তিগত অর্থ নয় ।মানুষের ট্যাক্সের টাকা ।তাই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপন করা সরকারের উচিত ।পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী ছাড়াও প্রদেশ কিষান কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক অশোক বৈদ্য ,ওবিসি কংগ্রেসের নেতৃত্ব মনোরঞ্জন দেবনাথ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।