
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সদ্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন স্থানীয় বৈদ্যুতিক চ্যানেলের কর্ণধার ও পরিচিত সাংবাদিক স্বপন (বিদ্যুৎ) বৈদ্য। দক্ষিণ কালিপুরস্থিত তাঁর বাসভবনে অসুস্থতা দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে আরজিএম হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।আজ কৈলাসহরে আসলেন আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সর্বভারতীয় জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার, খুমলুং প্রেস ক্লাবের সম্পাদক ও আগরতলা প্রেসক্লাবের এক্সিকিউটিভ সদস্য রঞ্জিত দেববর্মা এবং ত্রিপুরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সোসাইটির সম্পাদক সৌরজিত পাল।তারা প্রথমে এসেই প্রয়াত সাংবাদিকের বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সাথে দেখা করেন। পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত সাংবাদিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। এবং পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।এদিন আরজিএম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কৈলাসহর জার্নালিস্ট ক্লাবে যান তিন সদস্যের দল । সেখানে তিনি জার্নালিস্ট ক্লাবের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং আগামীর পথ চলার শুভেচ্ছা জানান। পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক অনুপম ভট্টাচার্যী, বলিষ্ঠ সাংবাদিক অনিমেষ ভট্টাচার্যী, বরিষ্ঠ সাংবাদিক মোঃ জামাল উদ্দিন, কৈলাসহর জার্নালিস্টস ক্লাবের সভাপতি উত্তম দেব, সহ অন্যান্য ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।জার্নালিস্ট ক্লাব থেকে বেড়িয়ে তিনি সোজা চলেযান কৈলাসহর প্রেস ক্লাবে। কৈলাসহর প্রেসক্লাবে পৌঁছালে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রণব সরকারসহ অন্য দুই অতিথিকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি জামাল উদ্দিন,সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী,সহ সভাপতি অনুপম পাল,সদস্য চারুকৃষ্ণ কর তাঁদের হাতে ২০২৪-২৫ সালের ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া স্মরণিকা তুলে দেন।সংবর্ধনা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রণব সরকার বলেন, “আগরতলা প্রেসক্লাবের পর রাজ্যের সাংবাদিকতা জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কৈলাসহর প্রেসক্লাব।” তিনি প্রেসক্লাবকে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জাণাণ।