
ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের সাংগঠনিক বৈঠক সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা ।এদিন সাংগঠনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিহার রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকশিত সংকল্প যাত্রায় দেশ কিভাবে এগিয়ে চলছে তা দেখিয়ে দিয়েছে বিহারের নির্বাচনী ফলাফল। তিনি বলেন ,বিহারে আমাদের সরকার হবে সেই বিশ্বাস ছিল ।কিন্তু এত বিপুল জয় তা কোনদিনও ভাবতে পারিনি, বাস্তবিক পক্ষেই এটা গর্বের বিষয় ।অনেকেই বলছিলেন বিহার দিয়েই বিজেপির পতন শুরু হবে। কিন্তু ২০২৪ এ দিল্লি জয়, ২০২৫ সালে বিহার জয় এবং ২০২৬ সালে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে বিজেপি। এখন অনেকে নির্বাচন কমিশনকে গালমন্দ করছেন ,প্রশ্ন তুলছেন ।তাদের লজ্জা হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। পাম্প অপারেটর সংঘ প্রসঙ্গে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, পঞ্চায়েত এবং ডিডাব্লিউএস দুই দপ্তর মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পাম্প অপারেটর রয়েছেন ।ডিডাব্লিউএস এর পাম্প অপারেটররা ঘরে ঘরে পানীয় জল পরিষেবার কাজে যুক্ত রয়েছেন। অপরদিকে পঞ্চায়েত দপ্তরের পাম্প অপারেটররা কৃষিজ জমিতে জল সেচের কাজে যুক্ত রয়েছেন ।তিনি আরো বলেন ,এই দুই দপ্তরের কর্মীদের একত্রিত করে ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘ গঠন করা হয়েছে ।এই ঐক্য যেন বজায় থাকে ।তিনি আরো বলেন ,বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে যে সমস্ত পাম্প অপারেটররা মাসিক চার হাজার ৭১০ টাকা করে পেতেন তারা এখন মাসে ৭ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। আর যারা পাঁচ হাজার একশ দশ টাকা করে পেতেন তারা এখন সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পাচ্ছেন ।এর জন্য কোন আন্দোলন সংঘটিত করতে হয়নি। ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের এই সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাম্প অপারেটরদের বিভিন্ন দাবিগুলি তুলে ধরেন।