
সাংগঠনিক ক্ষমতায় আসীন হয়ে নিয়ম তোয়াক্কা করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে চলছেন সাউথ ত্রিপুরা বাস ওনার্স এসোসিয়েশনের উদয়পুর ব্রাঞ্চের সভাপতি, সম্পাদকসহ আরো এক নেতৃত্ব।এর ফলে যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনের আগরতলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে শাসক দলে এখন একাংশের নেতৃবৃন্দের চলছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির প্রক্রিয়া ।মূলত শ্রমিক সংগঠনগুলিতে এই প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাংগঠনিক অন্তর কলহই এর অন্যতম প্রধান কারণ বলে অনুমান ।শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিটি মহকুমা এবং জেলা স্তরে চলছে এর প্রভাব । দা সাউথ ত্রিপুরা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও এর থেকে পৃথক নয় ।অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের গায়ের জোরেই সংগঠনের উদয়পুর শাখার নেতৃত্ব মর্জিমাফিক যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে চলছেন। এরা হলেন দা সাউথ ত্রিপুরা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদয়পুর ব্রাঞ্চের সভাপতি রাজু মজুমদার ,সম্পাদক বিমল দেব সহ আরো একজন। অভিযোগ ,সংশ্লিষ্ট তিন নেতৃত্ব সরকার থেকে প্রদান করা পারমিট অনুসারে গাড়ি চালাচ্ছেন না ।তারা উদয়পুর থেকে নাগেরজলা পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা প্রদান করছেন ।দীর্ঘদিন ধরে তারা তাদের মর্জিমাফিক যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে চললে সম্প্রতি আগরতলা শাখা থেকে তাদের নিয়ম-নীতি মেনে পরিষেবা প্রদানের কথা বলা হয় ।এই কথায় তারা খেপে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাসগুলিকে অহেতুক শাস্তির আওতায় আনছেন। রবিবার নাগের জল থেকে দশটি বাস যাত্রী নিয়ে উদয়পুরে যায় ।এর মধ্যে চারটি বাসকে ফেরার পথে যাত্রী পরিষেবা থেকে দীর্ঘক্ষণ বিরত রাখা হয় ।এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন দা সাউথ ত্রিপুরা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ।সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নেতৃবৃন্দ জানান ,বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের নিকট তুলে ধরবেন তারা।এভাবে মর্জি মাফিক যাত্রী পরিষেবা প্রদান করা যায় না বলে জানান সংগঠনের আগরতলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এদিকে এভাবে মর্জি মাফিক যাত্রী পরিষেবা প্রদান করার ফলে দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন স্থানের নিত্যযাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি এখনই কড়া হাতে দমন না করা হলে অদূর ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ আকার ধারণ করবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত।