
স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে রাজ্যের মানুষকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্ত করছে বিরোধী দল। সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে রাজ্যের মানুষকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্ত করছে বিরোধী দল। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সাথে তিনি যোগ করেন, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুৎ মাশুল ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার আজ সিপিএমের নেতৃত্বরা বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে ধর্ণা দিতে যান।মন্ত্রী রতন নাথের কথায়, সিপিআইএম শাসনকালের শেষ সাত বছরে ১১৬.০৩ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তাদের শাসনকালে ২০১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তেমনি, ২০১২ সালে ০৭.৭৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৪০.৪৫ শতাংশ, ২০১৫ সালে ০৫.৮৩ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকারের শাসনকালের সাত বছরে ২০২০ সালে ২.৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল উল্টো কমানো হয়েছে। তেমনি, ২০২২ সালে ০২.৩৪ শতাংশ, ২০২৪ সালে ০৭ শতাংশ, ২০২৫ সালে ৭.১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাস্যকর ব্যাপার আজ সিপিএমের নেতৃত্বরা বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে ধর্ণা দিতে যান। এদিন তিনি বলেন, টাকার তুলনায় ডলারের দাম উঠানামা করার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম উঠানামা করে। কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যুৎ মাসুল একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ঠিক করে দিয়েছে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত গোটা দেশে ডলারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয় বিক্রয় করা হত। সেই ক্ষেত্রে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাবে। তাই ২০১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এবিষয় নিয়ে জনসম্মুখে সত্যি কথা বলেননি বিরোধীরা। সবকিছু জানার সত্বেও সিপিআইএম জনগনকে বিভ্রান্ত করছে।তার দাবি, বিদ্যুতের বেসরকারিকরণ করেছে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। আগে ছিল সরকারের অধীন এরপর তা নিগমের অধীনে হয়। তার কথায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের দাম বাড়লে দুধের ইউনিটের দাম সামঞ্জস্য রেখেই বাড়বে। ২০১১ সালের বাম আমলে কমিশনের করে দেওয়া আইনে বিদ্যুৎমাসুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই হবে। সেই নিয়ম মেনেই চলছে বর্তমান বিজেপি সরকার। কমিশনের তরফে যেভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের আসল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা গ্রাহকদের কাছ থেকে এক মাসেই না নিয়ে দুই মাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন তিনি আরও বলেন, যারা ৪১২ ইউনিট মাসে ব্যবহার করেন তাদের বিল আসে মাসে ৩০০৫ টাকা। তাদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা রিবেট দেওয়া হয়। তাদের ক্ষেত্রে এরিয়ার আসবে ৩১৮ টাকা এটাই বর্ধিত সেই বিল এখন থেকে এই ৩১৮ টাকা একসঙ্গে না নিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতি বিলের সঙ্গে কেটে নেওয়া হবে। সাথে তিনি যোগ করেন, বিদ্যুতের হুক লাইন বন্ধ করতে এবার ড্রোন ক্যামেরা আনছে সরকার।