
সিপিআইএম শ্রমজীবি মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে, তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন ওবিসি মোর্চার সভাপতি তথা ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ।বিগত দিনে সিপিআইএম শ্রমজীবি মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে। তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আজ তারাই শ্রমজীবী মানুষদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলছেন। তারা ভুল তথ্য প্রকাশ করে শ্রমজীবী মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ওবিসি মোর্চার সভাপতি তথা ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ।এদিন চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ বলেন, সম্প্রতি ত্রিপুরার চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার। তাতে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ১৭৬ টাকা থেকে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ৮৮ টাকা থেকে ১০২ টাকা মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিগত কিছুদিন ধরে বিরোধীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের ভুল তথ্য জনগণের নিকট তুলে ধরছে।তার কথায়, ২০১৫ সালে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাগিচা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চিঠি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ অন্যান্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। ওই চিঠিতে বাগিচা শ্রমিকদের বেতন ১৬০ টাকা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ে বাগিচা শ্রমিকদের বেতন ৪৩ টাকা করা হয়েছিল। যেখানে ১৬০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা ছিল। আজ পর্যন্ত রাজ্যের বাগিচা শ্রমিকরা ওই চিঠির সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে সিপিআইএম সরকার ৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৩ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আজ তাঁরাই শ্রমজীবিদের স্বার্থ নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলেন। কিন্তু বিজেপি সরকার শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চিন্তাধারা করেছে।এদিন তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত বিজেপি সরকার শ্রমজীবি মানুষদের ভবিষ্যত নিয়ে উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই উন্নয়নমূলক সিদ্ধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান,সিপিআইএমের নেতৃত্ব দাবি করেন শ্রম দরদী সরকার ছিল তাদের। কিন্তু আসলে সিপিআইএম শ্রমজীবি মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে। তাদের সময় শ্রমিকদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন বিরোধী দল জনসম্মুখে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।