ত্রিপুরা
img

জরুরি অবস্থার ২১ মাস এক বিভিষীকাময় দুঃস্বপ্ন ছিল : মুখ্যমন্ত্রী

জরুরিকালের ভয়াবহতাকে নয়া প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে সোমবার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয় ছায়া সংসদের। আয়োজিত এই মক পার্লামেন্টে এদিন উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সহ মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মিমি মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রী  বলেন, পবিত্র সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার পৈশাচিক লোভে। এই উন্মত্ততা -অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি মা-বোনরাও। জরুরিকালের ভয়াবহতাকে নয়া প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে মক পার্লামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে যা এক সময়োপযোগী কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। টানা একুশ মাস এই পরিস্থিতি চলেছে দেশে।ওই দিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভারতীয় গণতন্ত্রে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সংবিধান ও নাগরিক অধিকার হত্যা করা হয়েছিল।ক্ষমতালোভী কংগ্রেসের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ভারতের সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছিল। একুশ মাস ধরে নিষ্পেষণ চলেছে গোটা ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সংবাদমাধ্যম কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন। মহিলারাও অত্যাচার থেকে রক্ষা পাইনি। অমানুষিক অত্যাচার হয়েছে তখন মহিলাদের উপরে বুদ্ধিজীবীদের উপরে শিল্পী সাহিত্যিকদের উপরে।এদিন তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ অগনতান্ত্রিকভাবে সংবিধানে সংযুক্ত হয় ৩৮,৩৯,৪০,৪১ ও ৪২ তম সংশোধনী,লাগু হয় মিসা আইন,খর্ব করা হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো। এই জরুরি অবস্থা দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। যার ভরপাই এখনো করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।তার কথায়, দেশ চালাতে হলে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।