
এখনো জট কাটলোনা কুমারঘাটের নিবেদিতা ইংরেজী মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের ফি সংক্রান্ত ঝামেলার। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকেও বের হলোনা কোন সমাধান সুত্র। ঝামেলার জেরে বন্ধ পড়ুয়াদের ভর্তি এবং পঠন পাঠন।
টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে টানাপোড়েনে বন্ধ ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট নিবেদিতা ইংরেজী মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভর্তী প্রক্রিয়া এবং লেখাপড়া। বিদ্যাভারতী অধিনস্ত স্কুলের পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফি বাড়ানোর অভিযোগ তুলে সরব অবিভাবকরা। বিদ্যাভারতীর বিরুদ্ধে স্কুলে অরাজগতা কায়েমের অভিযোগ প্রতিবাদকারীদের। ঝামেলা মেটাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে প্রশাসনিক মিমাংশা সভাও হলো নিষ্ফলা। এনিয়ে ফের ধার্য হয়েছে বৈঠকের দিনক্ষন।অনেকদিন ধরেই কুমারঘাটের নিবেদিতা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পরিচালনা করছে বিদ্যাভারতী অধিনস্ত একটি কমিটি। অবিভাবকদের অভিযোগ হটাৎ করেই স্কুলের ভর্তী ফি সহ বিভিন্ন মাশুল বাড়িয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই অসন্তোষ জানাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের অবিভাবকরা। তারা দাবী জানান বিদ্যাভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার। কিন্তু এতে কোন আমল দেয়নি সংস্থা। এমনটাই অভিযোগ। এক পর্যায়ে গর্জে উঠে চলতি মাসের আট তারিখ স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে কুমারঘাট ফটিকরায়ের সড়ক অবরোধে বসেন প্রতিবাদকারীরা। এনিয়ে মহকুমা প্রশাসনের দরবারেও হাজির হন তারা। তাদের দাবি বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করতে হবে এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে বিদ্যাভারতীকে। কিন্তু এতোসবের পরও বিদ্যাভারতী কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে দেখা করেনি বলে অভিযোগ। অবশেষে মহকুমা প্রশাসনের তরফে বিদ্যাভারতী এবং অবিভাবকদের নিয়ে স্কুলে মিমাংসা সভা ডাকেন মহকুমা শাসক। কিন্তু সেই বৈঠকেও বের হলোনা কোন সমাধান সুত্র। এক পর্যায়ে ব্যার্থ হয়েই ফিরে গেলেন প্রশাসনিক কর্তারা। পরে স্থানীয় শাসক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে হয় বৈঠক। সকাল থেকে টানা সন্ধ্যারাত পর্যন্ত চলে স্কুলের বৈঠক। রুমা ধর দাস নামের এক অবিভাবক অভিযোগ করেন, সমস্যা মেটানোর বদলে বৈঠক থেকে অপ্রত্যাশিত বক্তব্য রেখেছে বিদ্যাভারতী কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষেপে উঠেন অবিভাবকরা। স্কুলের সমস্যা নিয়ে প্রয়োজনে অবিভাবকদের আইনি পথে যেতে এবং পড়ুয়াদের অন্য স্কুুলে নিয়ে যেতে অবিভাবকদের পরামর্শ দেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবুও বিদ্যাভারতী দায়িত্ব থেকে সরবেনা বলে রিতিমতো হুশিয়ারী দিয়েছে বলে অভিযোগ অবিভাবকদের। স্কুলের এই সমস্যার জেরে পড়ুয়াদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান ঐ অবিভাবক।
এদিকে ঘটনা নিয়ে এদিন প্রতক্রিয়া দিয়েছেন বিদ্যাভারতী সংস্থার সম্পাদক সুভাষ গন চৌধুরী। এদিনের বৈঠকে যে তেমন কোন সুরাহা হয়নি তা উঠে এলো উনার বক্তব্যেই। তিনি জানিয়েছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারো হবে বৈঠক। তিনি জানান, বুধবার থেকে স্কুলে শুরু হবে পুনরায় ভর্তীর প্রক্রিয়া। কিছুদিন পর বিদ্যাভারতীর পরিচালনাতেই তৈরী করা হবে নতুন কমিটি। আগামী কমিটিও বিদ্যাভারতীর পরিচালনাতেই তৈরী হবার আভাষ দিলেন সংস্থার সম্পাদক। অবিভাবকরা বিদ্যাভারতীর অপসারন চাইলেও সংস্থা যে কিছুতেই নিজেদের হাত থেকে দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ তা এদিন যেন অকপটে সেটা বুঝিয়ে দিলেন সংস্থার সম্পাদক।