ত্রিপুরা খবর
img

নাশ্যানাল হেরাল্ড ইস্যুতে বিক্ষোভ মিছিল বিজেপির

ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারিতে  দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। তাদের কারণে আজ গোটা দেশ কলঙ্কিত। এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এদিনের মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শেষে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে।
বিজেপির দাবি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী। কিন্তু তারা মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছেন। তারই প্রতিবাদে বিজেপি যুব মোর্চার তরফ থেকে এদিন সংঘটিত করা হলো বিক্ষোভ মিছিল। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য, পাপিয়া দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিন শ্রী ভট্টাচার্য্য বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত চারবছর ধরে ইডি অনুসন্ধান করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী এবং নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাতে, হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
এদিন তিনি আরও বলেন, দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড হল দ্য অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত একটি ভারতীয় সংবাদপত্র এবং রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর কোম্পানি ইয়াং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মালিকানাধীন। এটি ১৯৩৮ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তার জয়ের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ গোটা দেশ তাঁদের জন্য কলঙ্কিত হয়েছে।
তার কথায় ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। এরপর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।তার কটাক্ষ, এত বড়ো আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত হয়েও তাদের লজ্জা নেই। গোটা দেশবাসীকে তাদেরকে বর্জন করেছে। তাদেরকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই নিরুপায় হয়ে সিপিএমের সাথে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। গোটা ত্রিপুরাবাসী বাম কংগ্রেসের অত্যাচার ভুলেননি।