ত্রিপুরা খবর
img

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে ৪৮ বছরের এক বিবাহিত ব্যক্তি। তার নাম উত্তম বাল্মিকী। সে একজন গাড়ি চালক। গান্ধীগ্রাম শর্মা পাড়ায় সে বসবাস করে। নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।

গান্ধীঘাট শর্মা পাড়ার বাসিন্দা উত্তম বাল্মিকীর বাড়ির পাশেই এক গরিব রিকশা চালক ভাড়া থাকেন। এই রিকশাচালকের স্ত্রী আবার রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করেন। ধর্ষক উত্তম বাল্মিকী ও ওই রিকশাচালকের পাশাপাশি বাড়িতে থাকছিল বলে দুই পরিবারের মধ্যে অন্তরঙ্গতা তৈরি হয়। অন্তরঙ্গতা এতটাই গাঢ় হয়ে উঠে যে ওই গরিব রিক্সা চালকের সঙ্গে ধর্মের আত্মীয়তা তৈরি করে উত্তম। সে নির্যাতিতা নাবালিকার মাকে নিজের ধর্মের বোন বলে স্বীকার করে নিয়েছিল। উত্তম বাল্মিকীর মেয়ে আর বিপ্লব দেবনাথের মেয়ে একসাথেই থাকে। গত পরশুদিন রাতে রিক্সাচালক বাড়িতে তরল নেশার আয়োজন করে। এই আসরে উত্তম বাল্মিকীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আসরে তরল নেশায় উত্তম বাল্মিকীও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নেশাগ্রস্ত হয়ে হঠাৎ সে  রিকশা চালকের নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে করবে বলে দাবি করতে শুরু করে। সেই সময়ই। উত্তমের মুখে এই কথা শুনে রিকশাচালক এবং তার স্ত্রীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এরপরেই উত্তম ওই রিক্সা চালকের নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। এমনকি এই ধর্ষণের কথা লুকিয়ে রাখতে সে  নাবালিকাটিকে   সব সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত। তার মাকে মেরে ফেলা হবে বলে সে হুমকিও দিয়েছিল। যার কারনে এই নাবালিকা  তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়নি। কিন্তু ঘটনা জানাজানি হতেই নির্যাতিতার অভিভাবকরা এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে উত্তম বাল্মিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পসকো আইনে মামলা লিপিবদ্ধ হয়। অভিযোগ নিয়ে উত্তম বাল্মিকীকে এয়ারপোর্ট থানা গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতার মা উত্তম বাল্মিকীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন।