
সংঘ প্রচারক থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা পশ্চিমবাংলার দীলিপ ঘোষ,জীবনের ষাট টি বসন্ত পার করে,নবজীবনে প্রবেশ করলেন শুক্রবার,নয়া বাংলা বছরের প্রথম সপ্তাহে।এতদিন তিনি কি বিবাহিত না অবিবাহিত এটার খবর হয়ত হাতো গোনা কয়জন রেখেছে।বৃহস্পতিবার দীলিপ ঘোষ বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করছেন এমন সংবাদ প্রকাশ হতে তা যেন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে,গোটা বাংলা সহ এই রাজ্যেও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আলোচনা।বাঙালি হুজুগে জাতি এই প্রবাদটা যেন দীলিপ ঘোষের বিয়ের মধ্য দিয়ে আরো একবার প্রতিষ্ঠিত হল।এতদিন পশ্চিম বাংলা জুড়ে ছিল কেবল আন্দোলন আর আন্দোলন পরিবেশ।এক মহিলা চিকিৎসক কে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার মধ্যদিয়ে গত দুর্গাপুজোর আগে থেকে আন্দোলনের বহর,পুজোর প্রতিমা কাঠামোতে অসুর রূপে স্থান পেয়েছিল এই ঘটনার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত বলে অভিযোগে এক আধিকারিক।আন্দোলনের মাঝেও পুজোর আনন্দে গা ভাসিয়েছে সকলে।এরপর এর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ছাঁটাই এনিয়েও আন্দোলনের কমতি নেই।এরমধ্যে ওয়াকফ বিল কে কেন্দ্র করে শুরু হল,এক অগ্নিগর্ভ আন্দোলন।মুর্শিদাবাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা শোনা যাচ্ছিল।বঙ্গের ভাজপার তরফেও এনিয়ে বহু অভিযোগ,অনেকেই বাংলাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও তুলছিল।বৃহস্পতিবার দুপুর অব্দি এনিয়ে আন্দোলন আলোচনা,অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের শেষ নেই।যখনই দীলিপ ঘোষের বিয়ের কথা প্রকাশ পেল ততক্ষণে বাংলার বুকে চলা সব আন্দোলন যেন নিমিষেই অতীত হয়ে গেল।সকলেই দীলিপ ঘোষ আর রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল।আর গোটা পশ্চিম বাংলা জুড়ে কি চলছে এনিয়ে আর কেউর মাথা ব্যথা নেই।বঙ্গের ভাজপা নেতৃত্বও সকাল থেকে ছুটছে দীলিপ ঘোষ কে বৈবাহিক জীবনের শুভেচ্ছা জানাতে।বাংলা জুড়ে চলছে বীভৎস পরিস্থিতি,ভাজপার নেতাদের এনিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।অথচ দাবি করা এই বীভৎস সময়ের মধ্যেই আনন্দে মেতে উঠলো ভাজপা।দীলিপের বিয়ে তাও দলের আরেক নেত্রীর সাথে।আন্দোলন ভুলে দীলিপের বিয়েই এখন আলোচনার শীর্ষে,এই রেশ থাকবে আরো কয়েকদিন।অন্ততঃএই কয়টা দিন তৃণমূল কংগ্রেস সহ পশ্চিমবাংলা সরকারের কাছে বড় স্বস্তির।