
ড্রিনিক অ্যান্ড্রয়েড ট্রোজানের একটি নতুন সংস্করণ আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি করতে পারে৷ ড্রিনিক হল একটি পুরনো ম্যালওয়্যার, যা ২০১৬ সাল থেকে খবরে রয়েছে৷ ভারত সরকার এর আগে এই ম্যালওয়্যারটি সম্বন্ধে একটি সতর্কতা জারি করেছিল। আসলে এই ম্যালওয়্যার আয়কর রিফান্ড করার নামে ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য চুরি করত ৷ এখন, এই ম্যালওয়্যার নিজের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এটি না কি বিশেষভাবে ভারতের ব্যবহারকারীদের এবং যারা নির্দিষ্ট ভারতীয় ব্যাঙ্ক ব্যবহার করেন তাঁদের লক্ষ্য বানিয়েছে। এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে নিশ্চিতভাবে SBI ব্যবহারকারীরা ড্রিনিকের টার্গেট। এতে iAssist নামে একটি অ্যাপও রয়েছে, যা ভারতের আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট টুলের নকল।
একবার লগ ইন করা হয়ে গেলে, স্ক্রিনে একটি জাল ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়, যা বলে যে আয়কর বিভাগ স্বীকার করেছে যে ব্যবহারকারী ৫৭১০০ টাকা ফেরত পাওয়ার যোগ্য। কারণ প্রথমে কিছু ভুল গণনা করা হয়েছিল৷ এবারও ব্যবহারকারীকে একটি অন্য আয়কর বিভাগের পেজ দেখায়, যা হুবহু আসল আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইটের মতো। এখানে, লোকেদের তাদের আর্থিক বিবরণ লিখতে বলা হয়, যেমন অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, সিভিভি এবং কার্ড পিন।
কীভাবে ভাইরাসের থাবা এড়ানো যায়?
- থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইট থেকে বা এসএমএসের মাধ্যমে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে না। শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকেই অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে।
- অজানা অ্যাপে এসএমএস এবং কল লগ পারমিশন দেওয়া এড়িয়ে চলা বাধ্যতামূলক। এ ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে হবে।