নিজস্ব প্রতিনিধি:- মরুভূমির উত্তপ্ত বালিতে সবচাইতে দ্রুতগামী ও বিপদজনক রেলের সাপের অস্তিত্ব মিলছে বালিতে কিছু দাগ দেখলে বুঝতে হবে সামনেই লুকিয়ে থাকতে পারে এই ডোরাকাটা সাপ । কিন্তু দৌড়েও এক্ষেত্রে পার পাওয়া যাবে না। কেননা বিশ্বের দ্রুতগামী সাপ এর তালিকায় রয়েছে এই সাপের নাম। এমনকি এই সাপের কামড়ে ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষের প্রাণহানির সংকা রয়েছে। শিশুর সাপেরাই নাকি অন্যতম কারণ। রেটেল সাপ সাধারণত বিট ফাইপার নামের উপ পরিবারের অন্তর্গত এটি মূলত মরু অঞ্চলের সাপ ,অস্ট্রেলিয়া উত্তর উপকূল দক্ষিণ এশিয়া উপকূলের সাগরের জলেও এই সাপের দেখা পাওয়া যায়। ইংরেজি রেটেল শব্দের অর্থ ঝুনঝুনি। পৃথিবীতে রেঁটেল সাপ ২৫টিরও বেশি সংখ্যক প্রজাতি রয়েছে জানলে অবাক হবেন এই সাপের লেজের শেষে ঝুনঝুনের মত শব্দ উৎপন্নকারী অংশ অংশ জন্যই নাকি রেটেল নামকরণ হয়েছে। কোনরকম হুমকি বা বিপদের সম্মুখীন হলে তারা এই রিটেল ব্যবহার করে থাকে। এর প্রধান খাদ্য ইঁদুর ছোট পাখি এবং অন্যান্য ছোট প্রাণী। প্রথমেই এরা শিকারকে ক্ষতিকারক দাঁতের মাধ্যমে কাবু করে ফেলে ফলে শিকার সাধারণত তাড়াতাড়ি প্রাণহানির দিকে এগিয়ে যায়। রেটেল সাপ দুই তৃতীয়াংশ দূরত্ব থেকে দংশন করতে পারে। জানা যায় রেটেল সাপ সুগঠিত দাঁত সহ জন্ম নেয় এবং দংশনের সময় প্রয়োগ তরলটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সাধারণত দংশনের সময় তারা শিকার কে অন্য মাত্রায় প্রয়োগ করে কিন্তু দংশন যখন আত্মরক্ষার্থে হয় তখন তারা তরলটি প্রয়োগ করে না যদি করেও তবে তরলটি খুব অল্প পরিমাণে নির্গত হয়। উল্লেখ্য সাপ যদি ভিত গ্রস্ত হয় তখন তা দংশনে সময় এসব চিন্তা করতে পারে। ছোট সাত পূর্ণবয়স্ক সাপের তুলনায় আরো বেশি ভয়ংকর কারণ দংশনের সময় ওই দূষিত পদার্থের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। ফলে দেখা যায় কম বয়স্ক একবার কামড়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক তরলটি প্রয়োগ করে ফেলে সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এইসব কামরালে শিশুদের প্রাণ দ্রুত সংকট আপন হয় সাপটির নিক্ষিপ্ত ক্ষতিকর তরলটি শরীরের টিস্যু নষ্ট করে থাকে। এতে শরীরের লাল রঞ্জকটির জমাট বেঁধে যায় ফলে এর সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটে এছাড়া এইসব কামরানোর পর শ্বাসকষ্ট প্যারালাইসিস চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এরা সাধারণত মানুষ দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায় তবে একবার কামরালে আর রক্ষা নেই। সাতটি বিশ্বে দ্রুতগামী সাপের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে এরা ঘন্টায় 20 কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে চলে প্রতীক আমরে এই সাপটি ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম বিশ ঢালতে পারে যা ১০ থেকে ২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট তবে এরা সাধারণত মানুষ দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায় বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়। এটি এক কামড়ে অন্তত গিনিপিগের প্রাণনাশের বিষ বহন করতে পারে। আঘাতের শিকার না হলে এরা কাউকে আক্রমণ করে না।