
নিজস্ব প্রতিনিধি:- করোনার সেই ভয়াবহতা এখন আর নেই। কিন্তু ঘুরে ফিরে আবারও চর্চায় করোনার টিকা। আরও নির্দিষ্টভাবে বললে কোভিশিল্ড। এই করোনা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোভিশিল্ডের টিকার কারণে ‘থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (TTS) নামে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যা রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে। আমাদের দেশেও অনেকেই কোভিশিল্ডের ডোজ় নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ঝুঁকি কতটা থাকছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঈশ্বর গিলাদা জানিয়েছেন, থ্রোম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক সিনড্রোম হল বিরল। কিন্তু এর প্রভাব গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাত্র ০.০০২ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। হায়দরাবাদের এক নামী বেসরকারি হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক সুধীর কুমার অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তাঁর মতে, ‘যদি খারাপ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার থাকে, তাহলে এই টিকা শরীরে প্রবেশ করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা হয়ে যায়। টিকা নেওয়ার ১-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ভারতে এই টিকা নেওয়ার পর ২ বছর কেটে গিয়েছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।’ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান চিকিৎসক রাজীব জয়দেবও জানালেন, এই নির্দিষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটি শুধুমাত্র প্রথম ডোজ় নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে হতে দেখা গিয়েছে। তারপর আর দেখা যায়নি। তাছাড়া, আমাদের দেশেও এই ‘থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ হওয়ার কোনও খবর নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন তিনি।