ত্রিপুরা
img

নাবালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

নাবালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ। ঘটনা জিরানিয়া থানার অন্তর্গত খামতিংবাড়ি পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের খামতিংবাড়ি গ্রামের ১৩ নাম্বারে। মৃতার নাম হেমা মলসম। বয়স ১০ বছর। খামতিংবাড়ি গ্রামের ১৩ নাম্বারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত মৃতদেহ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক মৃতার মামা ও দাদা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য।জিরানিয়া থানার অন্তর্গত খামতিংবাড়ি পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের হেমা মলসমের বাবা পদ বাহাদুর মলসমের মৃত্যু হয়েছে অনেক দিন পূর্বে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে হেমা মলসম তার মামা চিন্তা মনি মলসমের সাথে থাকে। হেমার মামা চিন্তা মনি মলসমের বাড়িতে বুধবার রাতে বসে মদের আসর। চিন্তা মনি মলসম ও এলাকার সুমিত রূপিণী মিলে একসাথে মদ্যপান করতে বসে। একটা সময় মদ শেষ হয়ে যায়। তখন চিন্তা মনি মলসম পুনঃরায় মদ নিয়ে আসার জন্য এলাকার এক বাড়িতে যায়। এই সুযোগে সুমিত রূপিণী হেমা মলসমকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার দিন হেমা ঘটনার কথা জানায় তার দাদা রাজেশ মলসমকে। কিন্তু রাজেস ছোট বোন হেমার কথা পাত্তা দেয় নি। তার পর অভিমানে হেমা মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বলে জানায় হেমার বড় ভাই রাজেশ মলসম।হেমার মামা চিন্তা মনি মলসমও জানায় হেমা বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। তার পর থেকে হেমা নিখোঁজ ছিল।এরই মধ্যে রবিবার চিন্তা মনি মলসমের বাড়ি সংলগ্ন গভীর জঙ্গল থেকে হেমার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হেমার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রাধাপুর থানার অফিসার রাজকুমার জমাতিয়া, চম্পক নগর ফাঁড়ির ওসি সঞ্জয় দেববর্মা, এবং জিরানিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কমল কৃষ্ণ কলই । জিরানিয়ার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারনা হেমার মামা হেমাকে খারাপ কাজে লিপ্ত করতে চাইছে। এইদিকে হেমার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে পলাতক সুমিত রূপিণী। এই সুমিত রূপিণী বুধবার রাতে হেমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। ধারনা করা হচ্ছে হেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।