ত্রিপুরা
img

গান্ধীগ্রাম হাসপাতালে দুর্বৃত্ত তান্ডব

গভীর রাতে গান্ধী গ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে  দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।শারীরিক হেনস্থা এক মহিলাকে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা। পুলিশ মামলা গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত ক্ষমতাশালী দুই দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করেনি। ফলে আতঙ্কে ভুগছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কে হেয় প্রতিপন্ন করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ষড়যন্ত্রীরা। এই ষড়যন্ত্রীরা দলের মধ্যেও  বিভাজন  তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক কথায় বলা যায় শাসক দলীয় কতিপয় কর্মী সমর্থকদের ভীমরতি ভর করেছে। ক্ষেত্রে এই ষড়যন্ত্রীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি উঠেছে দলের মধ্যেই। এই ষড়যন্ত্রীদের এমনই এক নেক্কার জনক ঘটনা সামনে এলো বামুটিয়া থেকে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় সোমবার গভীর রাতে গান্ধীগ্রাম বাজারস্থিত জয় সংঘ ক্লাবের সঙ্গেই রয়েছে গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।সোমবার রাতে গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসারত এক রোগীর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক পেটায় শাসক দলের দুই দুষ্কৃতি শ্যামল দে ও পামির দাস। তারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক মহিলাকে যত হানি ও করেছে বলে অভিযোগ করলেন খোদ নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগ এই দুর্বৃত্তদের তাণ্ডব চলে গভীর রাত পর্যন্ত।তারা নাকি এই হাসপাতালের মালিক এমনটাও তারা বুক ফুলিয়ে বলতে শুরু করে।তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার নির্যাতিতা মহিলা গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান সোমবার যখন তাদের পরিবারের এক সদস্য হাসপাতালে আসে এবং সে হাসপাতালের বাইরে জয় সংঘের সামনের জঙ্গলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যায়, তখন দুই যুবক ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটায়। তার চিৎকার শুনে ওই নির্যাতিতা বাইরে গেলে মহিলাকেও আক্রমণ করা হয় এবং মহিলার শরীরের আপত্তিকর স্থানে  ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পাশপাশি এই মহিলাকে অস্রাব্য ভাষায় গালিগালজ করার পাশাপাশি তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় জয় সংঘ ক্লাবের সদস্য তথা নিজেদেরকে শাসক দলীয় কর্মী বলে ঘোষণা করা দুষ্কৃতি পামীর  ও শ্যামল দে।এই হাসপাতাল নাকি তাদের সম্পত্তি এমনটাও তারা বড়াই করতে থাকে।গাভীর রাত পর্যন্ত তারা হাসপাতালে তাণ্ডব চালায়,এমত অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনরা। বর্তমান সময়েও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে গান্ধীগ্রাম হাসপাতালের কয়েকজন রোগী এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করা হয় বলে জানান আক্রান্ত মহিলা ।শাসক হোক বা বিরোধী রাজ্যে বামুটিয়ায় নাম খারাপ করতে কেউই পিছিয়ে নেই।উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গুঞ্জন চলছে তাহলে কি সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা? মানুষকে পেটানোর অধিকার কে দিয়েছে তাদের এমনটা উঠেছে প্রশ্ন।স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যায় শাসক দলের দখলে থাকা গান্ধীগ্রাম জয় সংঘ ক্লাবের এই সদস্যরা মদমত্ত অবস্থায় ছিল এবং তারা প্রায়শই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনরা ভয়ে কিছু বলেন না। মামলা হলেও,এদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তো পুলিশ সেটাই এখন দেখার।