ত্রিপুরা
img

বন্ধ পুর পরিষদ এলাকার জল নিষ্কাশনের ড্রেন

ত্রিপুরায় খোদ পুরপরিষদ এলাকায় জমা জলে ডুবছে ডবল ইঞ্জিনের উন্নয়ন। উন্নয়নের ঠেলায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পুর পরিষদ এলাকার জল নিষ্কাশনের ড্রেন। ফলে বর্ষার মরসুমে দিনের পর দিন জলে ডুবে থাকছে এলাকা। জলে থৈ থৈ মানুষের বাড়ীঘরে যাতায়াতের রাস্তা। এই ঘটনা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট পুর পরিষদের নিদেবী পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় চাপা ক্ষোভ এলাকার মানুষের মধ্যে।ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিনের উন্নয়ন ডুবে রয়েছে বৃষ্টির জমে থাকা নোংরা জলের তলায়। তাও খোদ পুর পরিষদ এলাকায়। বর্ষার মরসুমে দিনের পর দিন এভাবেই জলে ডুবে থাকে এলাকা। জলে ডুবে রয়েছে মানুষের বাড়ীতে যাতায়াতের রাস্তাঘাট। নোংরা জল পায়ে ডিঙিয়ে দিন কাটছে পুরবাসীর।  বিশ্বাস হচ্ছেনাতো? ছবি না দেখালে হয়তো এটা কারোরই বিশ্বাস হবার কথা ছিলোনা বর্তমান ত্রিপুরায়। কারন সাবকা সাথ সাবকা বিকাশের রাজ্যে গল্পনির্ভর উন্নয়ন যখন প্রশাসনের মূল হাতিয়ার হয় তখন একেবারে জলজ্যান্ত ছবি না দেখালে প্রচার নির্ভর উন্নয়ন আর বাস্তবের ফারাক ঠিক বুঝে উঠতে পারেননা রাজ্যের একাংশরা। এই ছবি ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার পাবিয়াছড়া বিধানসভা এলাকার। খোদ কুমারঘাট পুর পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিদেবী শান্তিপাড়া এলাকায় দিনের পর দিন বৃষ্টির জমা জলে অবরুদ্ধ পুরবাসীর যাতায়াতের রাস্তা। বন্ধ হয়ে রয়েছে জল নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো। নিষ্কাশনী ব্যাবস্থা অচল হয়ে পড়ায় কার্যত বিপাকে পড়েছেন ঐ ওয়ার্ডের পুরবাসীরা। ন্যায্য কর দিয়েও ভোগান্তির অন্তনেই তাদের। কর্তৃপক্ষকে জানালেও নেই কোন সুরাহা। এনিয়ে চাপা ক্ষোভে ভূক্তভোগীরা।এলাকার বাসিন্দা সমরেশ দে অভিযোগ করেন, পুর পরিষদের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এলাকার জল নিষ্কাশনের বিভিন্ন ড্রেনগুলো। ফলে বর্ষার মরসুমে বৃষ্টির জলে ডুবে থাকছে এলাকা। বৃষ্টি থেমেগেলেও দিনের পর দিন জমা জলে ডুবে থাকছে এলাকার রাস্তাঘাট থেকে মানুষের বাড়ীঘর। এলাকায় জল নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ হয়ে পড়ার ফলে বর্তমানে বৃষ্টি না থাকলেও এলাকার অনেক পরিবার রিতিমতো জলবন্দী। ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়েছেন তারা। তিনি অভিযোগ করেন জল নিষ্কাশনী ব্যাবস্থা অচল হয়ে পড়ায় এলাকার ধানীজমি রূপ নিয়েছে জলাশয়ের। এলাকায় কেউ অসুস্থ্য হলে তাকে কাঁধে করে নিয়ে তুলতে হয় গাড়ীতে, কারন জলে ডুবে বেহাল হয়ে পড়েছে যাতায়াতের রাস্তাঘাট। বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এই আবস্থায় দিন কাটছে তাদের। পুর পরিষদকে জানালেও সমস্যার কোন সুরাহা হচ্ছেনা বলেই অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করেন বর্তমান প্রশাসনের উন্নয়ন শুধু মূল শহরের গণ্ডিতেই সিমাবদ্ধ। শহরের প্রাণকেন্দ্র ছাড়া উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও দেখছেননা তারা।স্থানীয়দের কথায়, কুমারঘাট পুরপরিষদের উদাসীনতায় এখন ভোগান্তির অন্তনেই তাদের। প্রশ্ন হলো, প্রতিমাসেই পুরপরিষদকে বিভিন্ন কর দিয়ে এলাকায় বসবাস করছেন বাসিন্দারা। তবে কেনো এতো দূর্ভোগ? বছরের পর বছর ধরে সব জেনেও কেনোইবা নেওয়া হচ্ছেনা কোন পদক্ষেপ? প্রশ্ন ভূক্তভোগীদের। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পাবিয়াছড়া বিধানসভার খোদ পুর পরিষদ এলাকায় উন্নয়নের এমন কদর্য রূপ দেখে হতবাক সাধারন মানুষ। আমজনতার এমন দূর্ভোগ দেখেও আদৌ কি সজাগ হবেন বর্তমানের দায়িত্বশীলরা? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। কারন দিকে দিকেই এখন এভাবে ডবল ইঞ্জিন ডুবছে বলে অভিমত সাধারন মানুষের।