ত্রিপুরা
img

নবনির্মিত এমএলএ হোস্টেলের ছাদ চুইয়ের ভেতরে জল পড়ছে

তদানীন্তন বাম সরকারেরই সিদ্ধান্ত ছিল বিধায়কদের কাজের সুবিধা এবং খুব সহজেই বিধায়করা জরুরী প্রয়োজনে যাতে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন বা কিছুক্ষণের মধ্যেই একসাথে মিলিত হয়ে আলোচনা করতে পারেন তার জন্য বিধায়কদের এক চত্বরেই এমএলএ হোস্টেলে থাকা  প্রয়োজন।  সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই মহাকরন চত্তর এলাকায় বড় জায়গা জুড়ে একই এলাকায় এম এল এ হোস্টেল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এবং এমএলএ হোস্টেল নির্মাণের কাজও শুরু হয়। ২০১৮ সালের পর রাজ্যে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের  পর বর্তমান সরকারের আমলেও  একই চত্বরে সব এমএলএদের থাকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন এমএলএ হোস্টেলের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সাল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের থাকার ব্যবস্থা হয় গোর্খা বস্তিস্থিত নতুন এমএলএ আবাসনে। মাত্র দু বছর হয়েছে এমএলএ বা জনপ্রতিনিধিরা ওই নতুন আবাসনে ঢুকেছেন। সেদিক থেকে হিসেব করলে এমএলএদের জন্য তৈরি এই সরকারি আবাসন গুলি এখনো ঝাঁ চকচকে থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল নবনির্মিত এমএলএ আবাসনের কয়েকটি ফ্ল্যাটের ছাদ চুইয়ে ঘরের ভেতরে জল পড়ে ছোটখাটো বন্যা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া দেওয়ালে মামড়ি ধরেছে। ওয়ালের প্লাস্টার ফেটে গেছে। এমনকি যে সমস্ত দরজা জানালাগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো এদিক সেদিক ফেটে যাচ্ছে কোথাও প্লাইউডের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে। দু'বছর যেতে না যেতেই  আবাসনের এ ধরণের পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বিধায়করা। এদিন শান্তির বাজারের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং সরাসরি অভিযোগ করলেন, এখনো ঠিকভাবে বৃষ্টির মরশুম শুরু হয়নি, কিন্তু তার আগেই যেভাবে ছাদ চুইয়ে জল পড়ছে ঘরের ভেতরে তাতে এই ধরনের ফ্ল্যাটে থাকা দুষ্কর হয়ে উঠবে কয়েকদিনের মধ্যেই। নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলেই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিকেদার বা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি টাকা নিয়ে নিম্নমানের ফ্ল্যাট তৈরি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করলেন। শুধু তার ফ্ল্যাটেই নয় তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখেছেন হোস্টেলের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটে ছাদ চুইয়ে জল পড়ছে। কোথাও কোথাও দরজা জানালার প্লাইউড উঠে গেছে। কেন এমনটা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিধায়ক। এ ব্যাপারে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে সবশ্লিষ্ট ঠিকেদার বা নির্মাণ সংস্থাকে ডেকে জবাবদিহি চাওয়া এবং তাদের জরিমানা করা উচিত বলেই মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি তার অভিযোগ, দু'বছর যেতে না যেতেই যদি নতুন ফ্ল্যাটের এই হাল হয় তবে আগামীতে এই এমএলএ আবাসনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে। কারণ দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে বিধায়কদের কাজের সুবিধার জন্য একই চত্বরে এমএলএ আবাসন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলোর এই ধরনের হাল হলে সরকারের মূল উদ্দেশ্যই মাঠে মারা যাবে।