ত্রিপুরা
img

গোমতী জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন অচল

গোমতী জেলা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ।১৯ শে জুন ২০১২সালে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গোমতী জেলা হাসপাতাল উদ্বোধন হয়েছে। যেদিন থেকে এই টেপানিয়াস্থিত জেলা হাসপাতাল উদয়পুরে চালু হয়েছে সেদিন থেকে প্রশ্ন ছিল জেল হাসপাতালের পরিষেবা নিয়মিতভাবে সচল রাখা যাবে না। ১৩ বছর পরে সেই ধারনাই বাস্তবায়িত হতে চলছে। কখনো বিদ্যুৎ থাকে না। রোগীদের পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে না। শৌচালয় গুলো ব্যবহারের অযোগ্য। রাতের বেলা একাংশ ডাক্তার বাবুদের খুঁজে পাওয়া যায় না পরিষেবা দেওয়ার জন্য। 
গোমতী জেলা হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কখনো কখনো রাত একটার পর ডাক্তাররা রাউন্ড দিতে দেখা যায়। এ নিয়ে বহুবার রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় মন্ত্রী বিধায়ক সহ আমলারা হাসপাতাল নিয়মিতভাবে পরিষেবা চালো রাখার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেল বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে না। শনিবার রাত সামান্য বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে গেছে। সমগ্র হাসপাতাল ছিল কয়েক ঘণ্টা অন্ধকারে। যিনি জেনারেটর চালু করার কথা ওনাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে আইসিইউ তে বেশ কয়েকজন রোগীকে পরিষেবা দেওয়া যায়নি। ফলে দুলাল মজুমদার নামে এক রুগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ। শনিবার এবং রবিবার সিটি স্ক্যান অচল। দূর দুরান্ত থেকে রোগীরা অগ্রিম বুকিং নিয়ে সিটি স্ক্যান করার জন্য এসে ঘুরে যেতে হয়েছে। কর্তব্যরত জৈনিকা চিকিৎসক জানিয়েছেন এটা তাদের দেখার বিষয় না। যারা সিটি স্ক্যান চালানোর দায়িত্বে আছে তারাই দেখছে ব্যাপারটা। চিকিৎসক জানান বেশী সমস্যা হলে রোগীদের আগরতলায় রেফার করা হচ্ছে। এদিকে রবিবার অগ্রিম বুকিং নিয়ে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য রোগীরা এসে ফিরে যেতে হয়েছে। এদিকে আইসিইউতে পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রোগী এবং রোগীর পরিবারের অভিযোগ  নিয়মিতভাবে সঠিক পরিষেবা দিচ্ছে না রোগীদের। সব মিলিয়ে হাসপাতালে চলছে একটা অরাজকতা। যিনি হাসপাতালের সুপার রয়েছেন তার কাজকর্ম পরিচালনা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। ইতিমধ্যে সরকার তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হলো অদৃশ্য কারণে উনি থেকে যাচ্ছেন। রবিবার হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে রোগীরা সিটি স্ক্যান করতে এসে যন্ত্র খারাপ হবার পরও উনার কোন টনক নড়ে নি। শনিবার কয়েক ঘন্টা হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা অচল হয়ে পড়ে । তখনও তাকে দেখা যায়নি হাসপাতালে। দাবি উঠছে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যেন গোমতী জেলা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়মিতভাবে সচল রাখে সেই ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সেই দাবি উঠছে।