ত্রিপুরা
img

বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তিরঙ্গা যাত্রা খোয়াইতে

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে দেশ-বিদেশের ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারায়। সন্ত্রাসবাদীদের বর্বরোচিত এই আক্রমণের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সাত মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে দেশের তিন সেনাবাহিনী রণ সাজে সজ্জিত হয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে নয়টি সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধুলিস্যাৎ করে দেয়। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণেরও যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা। টানা কয়েকদিন এরকম যুদ্ধ আবহ পরিস্থিতি চলার পর অবশেষে দুই দেশের তরফেই ঘোষণা করা হয় যুদ্ধবিরতি। মাত্র কয়েকদিনের লড়াইয়ে ভারতীয় সেনা আবারও তার যোগ্যতার প্রমাণ দেয়।  এই অবস্থায় দেশের বীরযুদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে খোয়াই জেলা সদর শহরের তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। তাতে ছিল না কোন রাজনৈতিক দলের পতাকা। প্রত্যেকের হাতেই ছিল শুধু তেরঙ্গা ঝান্ডা। এদিন খোয়াই শ্রী নাথ বিদ্যানিকেতন মাঠ থেকে বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তিরঙ্গা যাত্রাটি বের হয়।এই রেলীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, রাজ্যের বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক বিপিন দেববর্মা, বিনয় দেববর্মা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশিষ্ট সমাজ সেবীগণ। তাছাড়াও শিল্পী সাহিত্যিক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সব অংশের মানুষ। এই তিরঙ্গা যাত্রা খোয়াই শহর পরিক্রমা করে পুনরায় শ্রী নাথ বিদ্যানিকেতন মাঠে গিয়ে সমাপ্ত হয়।