
ডিজিটাল প্রশাসনকে আরও মজবুত করতে জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত দিক-নির্দেশকারী এআই কর্মশালা সংঘটিত হল আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে। এই কর্মশালায় মুখ্য তৃতীয় হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জেকে সিনহা।
আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে ত্রিপুরা সরকারের তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে, কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন জাতীয় ই-গভর্নেন্স ডিভিশনের সহযোগিতায়, সুশাসনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রভাব বৃদ্ধি” শীর্ষক এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন হয়।ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা'র পৌরহিত্যে আয়োজিত এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সচিব কিরণ গিত্যে তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধিকর্তা জেয়া রাঘুল গেশান বি। সঙ্গে এনইজিডি, রাজ্য ই-গভর্নেন্স মিশন টিম ইন্ডিয়া এআই মিশন এবং রাজ্য সরকারের অন্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণে তথ্য-প্রযুক্তি সচিব কিরণ গিত্যে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রূপান্তরকারী সম্ভাবনায় গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর ভবিষ্যতের কোনো ধারণা নয়, বরং বর্তমান সময়েই তা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সক্রিয় পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনগত দক্ষতার এক শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে এআই'র সমন্বয় প্রশাসনিকভাবে সাড়া বা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে, ম্যানুয়াল বা মানবীয় হস্তক্ষেপ কমাতে পারে এবং তাৎক্ষণিক উপলব্ধি ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অগ্রিম নীতিনির্ধারণ সম্ভব। এতে নাগরিকদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান কিরণ গিত্যে।
বিশেষ ভাষণ প্রদানকালে মুখ্য-অতিথি মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা প্রথমেই রাজ্যের ডিজিটাল প্রশাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, যেখানে তিনি 'ই-অফিস', 'ই-ক্যাবিনেট' এবং সুবিধাভোগী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মতো প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগগুলো শুধু প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজতর করেনি, বরং স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা বাড়িয়েছে, যা ডিজিটাল ত্রিপুরা ও ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। মুখ্যসচিব আধুনিক জন-প্রশাসনকে আরও উন্নত করতে উদীয়মান প্রযুক্তিগুলো গ্রহণের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতাকে শক্তিশালী করতে পারে, সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে পারে এবং পরিষেবা প্রদানের সামগ্রিক গুণমানকে উন্নত করতে পারে। তিনি শাসন ব্যবস্থার সকল স্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ও দায়িত্বশীল প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিগত প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।