
আজব রাজ্যের গজব কাহিনী। বাড়ির ব্যবহারকৃত জল ড্রেনে ফেলা যাবে না। এ ধরনের হুলিয়া জারি হল।ঘটনা দুর্জনগর পঞ্চায়েতে চার নম্বর ওয়ার্ডে হাতিপাড়া রাস্তায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাড়ির ঘরের জল নাকি ড্রেনে ফেলা যাবে না, তার জন্য বাধা দিচ্ছে দুর্জনগর শান্তি সংঘ ক্লাবের কর্তৃপক্ষরা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত মেম্বাররা, ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি ড্রেন গুলি লাল মাটি দিয়ে ভরে দেওয়া হচ্ছে এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ।
বাড়ি ঘরের নোংরা জল আউট লাইনের মাধ্যমে রাস্তার পাশে নির্মিত সরকারি নর্দমায় পড়তে পারবে না। এই ধরনের অদ্ভুত হুলিয়া জারি করল স্থানীয় এলাকার কয়েকজন স্বঘোষিত মাতব্বর গোঁছের ব্যক্তি। এই বিষয়টি নিয়ে এই এলাকার একাংশ মানুষজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ক্লাবের নাম দিয়ে সরকারি নর্দমা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে রাস্তার পাশের বাড়িঘরগুলোতে নোংরা জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কোন ধরনের স্পষ্টিকরণ দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েত তরফ থেকে রাস্তার পাশের এই সরকারি নর্দমা বন্ধ করে দেওয়ার কোন নোটিশ জারি হয়েছে কিনা সে বিষয়েও খবর নেই। এই অত্যাশ্চর্য গজব ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর অদূরে দুর্জয়নগর চার নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বহু বছর অপেক্ষার পর অনেক আবেদন নিবেদনের পরে ৪ নং ওয়ার্ডে রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তার পাশে তৈরি হয়েছে সরকারি নর্দমা। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে এই এলাকায় রাস্তায় এখনও জল জমে যায়। সে সময়টাতে চলাচলে অসুবিধা হলেও নর্দমা থাকার কারণে কিছু সময় পরে জল নেমে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এলাকার একাংশ লোকের অভিযোগ সম্প্রতি এই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি হঠাৎ করেই আশ্চর্যজনক ভাবে ফতেয়া জারি করে চার নম্বর ওয়ার্ড রাস্তার পাশে নর্দমা থাকবে না।রাস্তার পাশের বাড়ি ঘর গুলোর আউটলাইনের জল নর্দমায় এসে পড়তে পারবে না। এলাকায় নর্দমার প্রয়োজন নেই বলেও তারা রাস্তার পাশে অবস্থিত বাড়িঘরগুলোতে জানিয়ে দেয়। এমনকি পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়া ড্রেন গুলো মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে তাদের উদ্যোগে। এক্ষেত্রে স্থানীয় এলাকার লোকজনের প্রশ্ন, রাস্তার পাশে ড্রেন থাকবে জল নিষ্কাশনের জন্য সেটাই আধুনিক সভ্যতার নিয়ম। কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মাটি ফেলে রাস্তার পাশের নর্দমা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোন আইনে এই অনৈতিক ঘটনাগুলো ঘটে চলছে তা তাদের অজানা। এলাকাটি শহর লাগোয়া হওয়ায় দুর্জয়নগর চার নম্বর ওয়ার্ডেও শহর এলাকার মতই ঘন জনবসতি। বাড়িঘর গুলোও ছোট এবং ঘন। এই অবস্থায় শহরের মতই বাড়ি ঘরের নোংরা জল আউটলাইনের মাধ্যমে নর্দমায় এসে পড়ে। ইতিমধ্যেই এই সরকারি নর্দমা বহু জায়গায় মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যার কারনে একদিকে যেমন বাড়ি ঘরে নোংরা জল জমে যাচ্ছে ঠিক তেমনি নর্দমাতেও জল জমে যাচ্ছে। যার কারণে একদিকে যেমন মশার বংশবিস্তার হচ্ছে, ঠিক তেমনি জমা জলে নোংরা আবর্জনা পচে পূতিগন্ধময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় পঞ্চায়েতের নির্দেশ ছাড়াই এখনো মাটি ফেলে চলছে সরকারি ড্রেন ভরাটের কাজ। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক জানিয়েছেন, ভূভারতে এ ধরনের ঘটনা বিরল। পৃথিবী-তো বটেই সমস্ত সভ্য দেশেই রাস্তার পাশের নর্দমাতে বাড়ি ঘরের আউটলেটের জল এসে পড়ে। নিষ্কাশনী ব্যবস্থায় সে জল পরে এলাকার বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু দুর্জয়নগর চার নম্বর ওয়ার্ডেই এর ব্যতিক্রম চিত্র। এক্ষেত্রে এলাকারই কয়েকজন স্থানীয় ক্লাবের নাম করে হুলিয়া জারি করেছে বাড়ি ঘরের জল বাড়ি ঘরেই জমা করে রাখতে হবে। বাড়ি ঘরের জল নর্দমায় এসে পড়তে পারবে না। তার দাবি, নর্দমা তৈরি করাই হয় জল বাইরে বেরিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু সেই নর্দমাই মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার স্বঘোষিত মাতব্বর প্রদীপ দেবনাথ, সমুজ্জ্বল ধর, অঞ্জলী দেবনাথ, অমর দেবনাথ স্থানীয় ক্লাবের নাম করে এই অপকর্মগুলো করছে বলে এই অবসর প্রাপ্ত সৈনিকের দাবি। এ বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।