ত্রিপুরা খবর
img

আবারো পথ দুর্ঘটনায় আহত দুই


বুধবার কমলাসাগর থেকে মধুপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মধুপুর লেম্বুতুলি এলাকায় একটি বাইক ও একটি স্কুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত স্কুটি চালক এবং বাইক আরোহী। আহত স্কুটি চালকের নাম অজয় দেবনাথ এবং বাইক চালকের নাম ঈশান দাস
 বুধবার অজয় দেবনাথ নামে এক ঠিকাদার কমলাসাগর রাস্তার মাথা এলাকা থেকে  একটি স্কুটি চেপে মধুপুরের উদ্দেশ্যে আসছিল ।আচমকা মধুপুরের দিক থেকে একটি বাইক নিয়ে ঈশান দাস নামে এক যুবক তার বৌদিকে নিয়ে নেহাল চন্দ্র নগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এমন সময় লেম্বুতুলী এলাকায় আসতেই কোন সংকেত না দিয়ে ঈশান দাস মূল সড়ক থেকে নেহাল চন্দ্র নগরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল অতি দ্রুত বেগে থাকা সেই বাইকটি নিয়ে। এমন সময় অপর দিক থেকে আশা অজয় দেবনাথের স্কুটিকে  ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর  বাইক আরোহী এবং স্কুটি চালক উভয়ই ছিটকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঈশান দাসের বাইকে থাকা তার বৌদি পূর্ণিমা দাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বিকট শব্দ পেয়ে পথচারীরা এগিয়ে আসে।  তারা দেখতে পায় বাইক এবং স্কুটি দুইটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় অন্যদিকে অজয় দেবনাথ গুরুতরক আহত হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকে রক্তাক্ত অবস্থায়। পরে ওএনজিসি গাড়ি দিয়ে তাদেরকে মধুপুর হাসপাতালে আনা হয়। অজয় দেবনাথের চিকিৎসা চললেও গুরুতর আহত পূর্ণিমা দাসকে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে পথচারীরা জানান বাইক চালক  ঈশান দাসের ভুলের জন্য সেই পথ দুর্ঘটনা হয়েছে। যদিও সে স্বীকার করে নিয়েছে সে নাকি তার বৌদিকে মূল সড়ক থেকে অন্য পথে যাওয়ার জন্য হাত দিয়ে সংকেত দেওয়ার কথা বলেছে।এদিকে এলাকার জনগণের অভিযোগ কমলাসাগর, রাস্তারমাতা মূল সড়কটির কাজ হওয়ার পর সোজা রাস্তা পেয়ে কিছু বাইক চালক এবং গাড়ি চালকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সময় পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে এলাকার জনগণ মধুপুর থানার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, পুলিশ যদি রাস্তার মধ্যে ভেহিকেল চেকিং এবং টহলদারি দিয়ে থাকত তাহলে কিছুটা হলেও পথ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এদিকে লেম্বুতুলী এলাকায় দুর্ঘটনা হওয়াতে এগিয়ে আসতে চাইনি মধুপুর থানা কিংবা বিশালগড় থানা। কারণ দুই থানার মধ্যবর্তী জায়গায় দুর্ঘটনা হলে প্রায় সময় এই অভিনয়টুকু দেখা যাচ্ছে দুই থানার পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল বাইক এবং স্কুটি রাস্তার মধ্যেই পড়ে রয়েছে।