
নিস্কর বাজেট পেশ করা হয়েছে বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে। সাধারণ দৃষ্টিতে জনসাধারণ অতিরিক্ত কর প্রদান করা থেকে স্বস্তি পেয়েছে মনে করলেও, সরকারি পরিষেবা নিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি বাড়িয়ে দিয়ে কোষাগার স্ফিত করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগরতলা পুর নিগম নাগরিক পরিষেবা প্রদানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে রাস্তার পাশের টয়লেট গুলোর ফি দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্মার্ট সিটি আগরতলায় নাগরিক পরিষেবা বৃদ্ধিতে পুর নিগমের তরফে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে ও বাজারে একাধিক শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও এগুলো দেখ ভাল করছে বিভিন্ন এনজিও। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে সাধারণ নাগরিকরা এতদিন ধরে এই সমস্ত শৌচাগার গুলো ব্যবহার করার সুযোগ পেত। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আগত যাত্রী সাধারণ এবং বাজারের ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু চলতি অর্থবছর থেকে
পুর নিগমের তৈরি করা সবগুলো সুলভ শৌচালয় এবার পরিষেবার মূল্য দ্বিগুণ করে দিল।
প্রসঙ্গত সব কিছুতেই এখন চোখে পড়ছে মূল্য বৃদ্ধি। হোক দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস, কিংবা সাধারণ পরিষেবা।এবার পুর নিগম পরিচালিত সুলভ শৌচালয় গুলো ব্যবহার করতে গেলে দিতে হবে বাড়তি গুনাগার। সরকারি ভাবে আগরতলা স্মার্ট সিটির বিভিন্ন স্থানে নাগরিক পরিষেবাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সুলভ শৌচালয়। যদিও এগুলো পরিচালন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বাবদ সাধারণের কাছ থেকেই মূল্য আদায় করা হয়ে থাকে। আগে ৫ টাকার বিনিময়েই এই শৌচালয় গুলো ব্যবহার করতে পারতেন সকলে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আগরতলা পুরনিগমের পক্ষ থেকে শৌচালয় গুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আচমকাই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তদানীন্তন পুর নিগম কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদবের স্বাক্ষরিত জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় পুরনিগমের অধিনে নির্মিত শৌচালয় ও বাথরুম গুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে এবার থেকে দক্ষিণা দিতে হবে জন প্রতি ১০ টাকা। ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকেই কার্যকরী হচ্ছে এই বিজ্ঞপ্তি। কোন আগাম ঘোষণা ছাড়াই নিগম পরিচালিত এই সমস্ত শৌচাগার গুলোর ব্যবহার্য ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ জনসাধারণের অভিমত, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শৌচাগার গুলোর ব্যবহার্য ফি বাড়বে তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু এক লাফে নির্ধারিত ফি'এর ডাবল করে দেওয়াটা অনৈতিক। বাজার গুলোতে যে সমস্ত শৌচাগারগুলো রয়েছে, বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রয়োজনের সময় প্রায় বহু মানুষ এই সমস্ত শৌচাগার গুলো ব্যবহার করে। কিন্তু এক লাফে শৌচাগার গুলোর ফি ডাবল করে দেওয়ায় একাংশ মানুষের মারাত্মক অসুবিধা হবে এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল। এক্ষেত্রে আরো অভিযোগ রয়েছে, শৌচালয় এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে বর্তমান সময়ে ১০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত শৌচালয় গুলোতে সার্বিক যে সুবিধা গুলো পাওয়ার কথা তা সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সহ যে সমস্ত এনজিওগুলোকে এই শৌচালয় গুলোর দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে যে সমস্ত সংস্থাগুলোও নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। দেখা গেছে এরা অনেকেই মর্জিমাফিক ফি আদায় করছে। বিশেষ করে টয়লেট গুলোতে স্নান করতে গেলে যার থেকে যেমন খুশি ফি আদায় করা হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলোর দিকে পুর নিগমের কোন নজর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, নিগম ইচ্ছে করলে দু কিংবা তিন টাকা ফি বাড়াতে পারতো। কিন্তু এক লাফে ৫ টাকা ফি বাড়িয়ে দিয়েছে শৌচালয় গুলোর। কোন পরিষেবা কর এক লাফের দ্বিগুণ বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।