
নিজস্ব প্রতিনিধি:- লেফুঙা থানাধীন বামুটিয়া বিধানসভার ১০৮ নং জাতীয় সড়কের কামালঘাট শান্তি পাড়া এলাকায় রক্তাক্ত হন এশিয়ান টাইমসের সাংবাদিক সুজিত নন্দী। ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে ব্যার্থ পুলিশ। জাতীয় সড়কের কামালঘাট শাস্তি পাড়া এলাকায় একটি পথ দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন মোহনপুর মহকুমার এশিয়ান টাইমসের সাংবাদিক সুজিত নন্দী, নিজের কর্তব্যকর্ম পালন করার সময় স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক সচেতনন্দে কে কর্তব্য কর্মে বাধা দেয় এবং তার উপর হামলা চালায়। তারপরেও সুজিত নন্দী, তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে সংবাদ সংগ্রহ করতে থাকে, তখন তারা সংঘবদ্ধ ভাবে সাংবাদিক সুজিত নন্দীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সাংবাদিক সুজিত নন্দী।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস ও পুলিশ কর্মীরা। কোনো রকম সাংবাদিক সুজিত নন্দীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তারা। গোটা ঘটনাটি শাসক দলের স্থানীয় নেতা মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জিত কুমার দাসের সামনে হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ ।ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই মোহনপুর এশিয়ার টাইমসের সাংবাদিক সুজিত নন্দী লেফুঙ্গা থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, সাংবাদিকের উপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দায় সরব হয় সাংবাদিক মহল। সাংবাদিক মহল থেকে বামুটিয়া থানার ওসি সহদেব দাস কে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ উত্তম সূত্রধর নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও রহস্যজনক ভাবে বাকিদের গ্রেফতার করেনি। অফিসে উঠেছে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার মূল অভিযুক্ত দুই জন শাসক দলের ক্ষমতাশালী নেতৃত্বের স্নেহধন্য হওয়ায় তাদেরগ্রেফতার এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ। একজন সংবাদিককে মেরে রক্তাক্ত করলো শাসক দলের ক্ষমতাশালী নেতৃত্বের সাঙ্গ পাঙ্গরা, কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ, না কি ইচ্ছে করেই গ্রেফতার করছেন না তা নিয়ে মহকুমার সাংবাদিকদের পাশাপাশি রাজ্যের সংবাদ মহলে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি এই বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হয়েছিল লেফুংগা থানার ওসি সহদেব দাসের সাথে। তিনি সরাসরি না বললেও স্বীকার করে নিয়েছেন, একজনকে গ্রেফতার করলেও প্রথম দেখে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার না করার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফোন এসেছিল তার কাছে। তবে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন, যেহেতু মামলা হয়েছে তাই অবশ্যই বাকি দুই অভিযুক্ত কেউ গ্রেপ্তার করা হবে। দুই অভিযুক্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে এবং তারা মোবাইল সুইচ বন্ধ করে রেখেছে বলে সহদেব বাবুর দাবি। তাই তাদের মোবাইল ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ দুই অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এখন দেখার বিষয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার বিরুদ্ধে যে অভিযুক্তরা ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিরুদ্ধে পড়ে কতটুকু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ আইনের আওতায় আনতে পারবে কি না, এবং কবে নাগাদ বাকি দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করবে সেটাই দেখার।