
নিজস্ব প্রতিনিধি:- ভারতকে কূটনৈতিক ভাবে আক্রমণ ও প্রেসারে রাখার কৌশল নিতে শুরু করেছে আমেরিকা। তাদের চাপে ব্রিটেনের নেওয়া অবস্থানের পর এবার আমেরিকা সরাসরি ঘোষণা করলো বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না, তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী শেখ হাসিনা ব্রিটেন , আমেরিকা এবং আরব আমিরশাহী সহ ইউরোপের আরও দুটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবার জন্য আবেদন করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে ব্রিটেন আগেই তাদের অবস্থান জানিয়ে বলে দিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে তারা অপারগ। তবে শেখ হাসিনার ব্রিটেনে আসার যদি ভিসা থাকে, তবে তিনি বৃটেনে যেতে পারবেন এবং সেখানে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। এরপরেই তার আবেদন বিবেচনা করা হবে। কিন্তু আমেরিকা পরিষ্কার জানালো, শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। অভিবাসন আইনে শেখ হাসিনাকে আমেরিকাতে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। আরব আমিরশাহী অবশ্য এখনো শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। অন্য দুই ইউরোপিয়ান দেশ থেকেও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিতে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আমেরিকা পরিষ্কার ঘোষণা করে দিয়েছে, ওই দেশের অভিবাসন আইনে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি তারা যোগ করেছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি শেখ হাসিনার জন্য সব থেকে নিরাপদ যে দেশটি রয়েছে অর্থাৎ ভারত সেখানে তিনি আশ্রয় নিতে পারেন। আমেরিকার স্পষ্টিকরণে একটা বিষয় পরিষ্কার, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করতে চাইছে তারা। এক্ষেত্রে উপ মহাদেশীয় কূটনৈতিক বাতাবরণে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করার এক নতুন কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। রাজনৈতিক সচেতন মহলের অভিমত, ভারতকে চাপে রাখার জন্য এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাংলাদেশে উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠা করার এটা এক কৌশল আমেরিকার, যেটা তারা বিগত ২৫ বছর ধরে করে আসছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের গণশত্রু শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে সেটা প্রচার করে, বাংলাদেশের প্রতি আমেরিকা আস্থাশীল সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে আমেরিকা বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এক্ষেত্রে ভারতকে চাপে রাখার পাশাপাশি, আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানো এশিয়ার চীন, জাপান ও ভারত সহ আরো কয়েকটি দেশে আমি বস এবং সবার দাদা ও আমিই নীতি নির্ধারক এই ধরনের একটা ধারণা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আমেরিকা এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে ভারত সরকারকে আমেরিকার এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে আরো দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে জরুরি ভিত্তিক সর্বদলীয় বৈঠকের পর বাংলাদেশে নিরপরাধ হিন্দুদের প্রতি ভারত সহানুভূতিশীল এবং তাদের আশ্রয় দিতে ভারত পিছপা হবে না বলে ঘোষণা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এতে ভারতের পক্ষ থেকে আমেরিকার কাছে একটা কড়া বার্তা যাচ্ছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা প্রশ্ন বারবারই সামনে আসছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কেন আগাম কোন ঘোষণা দিতে পারল না, এক্ষেত্রে কী "র" কেও প্রভাবিত করা হয়েছে কিনা এই বিষয়টি ও কিন্তু এখন জানার এবং যাচাই করার সময় এসে গেছে। কারণ ভারতকে ঘিরে যে দেশ গুলো আছে সেই দেশগুলোতে কিন্তু আমেরিকা তাদের দাদাগিরি চালানোর কৌশল সফল করেছে। যার কারণে পাকিস্তানের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে আমেরিকা, একই কৌশলে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মায়ানমার, এবং সম্প্রতি নেপালে দাদাগিরি কায়েম রাখার কৌশল নিয়ে সে আমেরিকা। অর্থাৎ এরা কৌশলে উপমহাদেশের তখন নিতে চাইছে। এক্ষেত্রে ভারতে মৌলবাদীদের আস্কারা দিয়ে নিজেদের ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে আমেরিকা এটাই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর এক্ষেত্রে ভারতকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এমনটাই মনে করছেন তারা।