ত্রিপুরা
img

যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জন্ম জয়ন্ত

ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বসূরি ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, ‘ভারত কেশরী’ ডক্টর  শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী রবি প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ববৃন্দ। ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপস্থিত সকলে। এই মহান বিভূতির বর্ণময় জীবনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর  মানিক সাহা বলেন, ডক্টর  শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে সাকার করছেন যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও যোগ করেন, ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আত্মবলিদানের গাঁথা আজও প্রতিটি রাষ্ট্রবাদী নাগরিকের জন্য প্রেরণার উৎস। নেহেরু-লিয়াকত চুক্তির বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া ড. মুখার্জি কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বামফ্রন্ট সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে কমিউনিস্টের শাসনকালে কমিউনিস্টের যে চিন্তা ভাবনা – সেটা হল মানুষকে ধরো, মানুষকে মারো, মানুষকে নিগ্রহ করো, মানুষকে যত গরীব বানাতে পারো, মানুষকে যত মূর্খ বানাতে পারো – তবেই আমাদের ক্ষমতা থাকবে। আর বর্তমান বিজেপি সরকারের বক্তব্য হল – মানুষকে যত উত্তরণ করতে পারবে, মানুষের শিক্ষার হার যত বাড়াতে পারবে। শিল্প স্থাপনার প্রসঙ্গে রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ত্রিপুরাতে আগে ইন্ডাস্ট্রি আসার আগে ১০ বার চিন্তা করতো, কারণ এখানে একটা ভাইরাস ছিল ‘সিট্যু’ ভাইরাস। আগে ছিল শুধু ‘দিতে হবে – দিতে হবে’। এখন বর্তমান বিজেপি সরকার কাজ করছে, বিজেপি সরকার সমাজকে পরিবর্তন করতে বদ্ধপরিকর। নারীদের সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, সিপিআইএম আমলে মহিলা নির্যাতনের ত্রিপুরা প্রথম স্থান অধিকার করেছে, আর বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর মহিলাদের কীভাবে আত্মনির্ভর করে তোলা যায়, কীভাবে মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে কাজ করছে। এদিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডক্টর  শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আদর্শ ও নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, বর্তমান বিজেপি সরকার ত্রিপুরার উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং কীভাবে তারা পূর্বতন সরকারের ত্রুটিগুলোকে শুধরে নিচ্ছে, সেই বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।