
ত্রিপুরার ধলাই জেলার নালকাটায় দীর্ঘ বছর ধরে বন্ধ সরকার অধিকৃত একটি জুস কারখানা। ফলে কাজ হারিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। বিক্রির অভাবে নষ্ট হচ্ছে এলাকার ফলচাষীদের আনারস, লিচু থেকে বিভিন্ন ফসল। বাজারেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেননা তারা। কারখানার আবাসগুলো পরিনত হয়েছে ভূতুড়ে বাড়ীতে। দাবী উঠছে কারখানাটি পুনরায় চালু করার।
ত্রিপুরায় দীর্ঘ বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ধলাই জেলার একসময়ের সরকার পরিচালিত নেরামেক জুস কারখানাটি। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু শ্রমিক। এলাকার ফলচাষীরাও বাজারে পাচ্ছেননা উৎপাদিত ফলের ন্যায্য দাম। পচে নষ্ট হচ্ছে এলাকার চাষীদের অনেক ফল। দেখভালের অভাবে ভূতবাংলোয় পরিনত কারখানার আবাসগুলো। দাবী উঠছে পুনরায় এটি চালু করার।
ত্রিপুরায় একসময়ের অন্যতম জুস কারখানা হিসেবে পরিচিত ছিলো ধলাই জেলার নালাকাটায় অবস্থিত নেরামেক জুস কারখানাটি। সরকার অধিকৃত এই কারখানাটিতে তখন আম, কাঠাল, লিচু, আনারস সহ অন্যান্য রসালো ফল জুসের জন্য প্রকিয়াকরন করে পাঠানো হতো বাইরে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় ফলচাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসল যেমন এই কারখানায় বিক্রি করতে পারতেন তেমনি এই জুস কারখানায় কর্মসংস্থানেরও সুবিধা ছিলো এলাকার বেকারদের। কিন্তু বিগত প্রায় কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে এই কারখানাটি। এতে বিপাকে পড়েছেন সেখানকার ফলচাষী থেকে শ্রমিকরা। এলাকার সুভাষ গোয়ালা নামে এক ব্যাক্তি জানান, এখান থেকে ফল প্রক্রিয়াকরন করে বাইরে পাঠানো হতো আগে, তৈরী হতো জুস। আর এতে সেখানে কাজের সুযোগ পেতেন এলাকার শ্রমিকরা। বর্তমানে প্রায় পনেরো বছর ধরে বন্ধ এটি। ফলে এলাকার ফলচাষীরা তাদের উৎপাদিত ফল বিক্রি নিয়ে পড়েছেন সমস্যায়। সঠিকমতো বিক্রি না হওয়াতে নষ্ট হচ্ছে অনেকের উৎপাদিত ফল। শুধু তাইনয়, এটি বন্ধ হওয়াতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন একসময়ে সেখানে কর্মরত অনেক শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবেই সবদিকথেকে সমস্যায় পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ফলচাষী থেকে শ্রমিকরা। এটি আবারো চালু করার দাবী জানিয়েছেন তারা।