
বনদপ্তরের কাজ করে দিতে হলো পুলিশকে। জাতীয় সড়কে চোরাই কাঠ আটক করে বন বিভাগের হাতে তুলে দিলো কুমারঘাট থানার পুলিশ।
বন বিভাগের কাজ বনজ সম্পদ রক্ষা এবং তা চোরা চালান প্রতিহত করা। কিন্তু সেই বন বিভাগের কাজ এবারে করে দিতে হলো ত্রিপুরা পুলিশকে। পাচারের সময় অবৈধ চোরাই কাঠ উদ্ধার করে বন বিভাগের হাতে তুলে দিলো ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট থানার পুলিশ। থানার ওসি সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, শনিবার রাতে কুমারঘাট থানার সামনে গাড়ী চেকিংএর সময় মনুর দিক থেকে আসা একটি মাল বোঝাই গাড়ীকে দাড় করাতে চাইলে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গাড়ীটি। পরে পুলিশ কর্মীরা গাড়ীটির পিছু ধাওয়া করলে কুমারঘাটের সোনাইমুড়ি এলাকায় গাড়ীটি রেখে পালিয়ে যায় অবৈধ কারবারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ষাট ফিট সেগুন কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ যার আনুমানিক বাজার মূল্য ষাট হাজার টাকা হবে। তবে এই ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। পরে কাঠ ভর্তী গাড়ীটি বন বিভাগের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় বন বিভাগ। প্রায় প্রতিদিনই বন বিভাগের চোখে ধুলো দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বনজ সম্পদ বনদস্যুরা উজার করছে বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যে বন বিভাগের তৎপরতায় অবৈধ কারবারীরা ধরা পড়লেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করে বনজ সম্পদ ধ্বংস করে দিচ্ছে অবৈধ কারবারীরা বলে অভিযোগ। এবারে আবারো বন বিভাগকে ঘুমে রেখেই নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে যাচ্ছিলো বনদস্যুরা কিন্তু মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো পুলিশ। বন দপ্তরর কাজ করে দিতে হলো স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।