
মহিলাদের জন্য কাজ করাই জাতীয় মহিলা কমিশনের মূল লক্ষ্য।
মহিলাদের তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে জাতীয় মহিলা কমিশন কাজ করছে। ত্রিপুরা মহিলা কমিশনও নারীদের অধিকার রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এক সাংবাদিক বৈঠকে বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডক্টর অর্চনা মজুমদার। ত্রিপুরার প্রান্তিক এলাকার মহিলাদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য অতিথিশালায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা ডক্টর অর্চনা মজুমদার। আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মাও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা ডক্টর অর্চনা মজুমদার জানান, রাজ্য সফরের আজ দ্বিতীয় দিনে তিনি আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ, গাইনোকলজি বিভাগ প্রভৃতি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের নতুন পরিকাঠামো তৈরীর কাজ চলছে। পরিকাঠামো তৈরী হলে চিকিৎসা পরিষেবার আরও উন্নতি হবে। তিনি জানান, ত্রিপুরায় বাল্যবিবাহ, প্রসূতি মা ও শিশু মৃত্যু প্রভৃতি বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়েছেন। রাজ্যে প্রসূতি মা ও শিশু মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই ভাল। আগরতলায় অবস্থিত ওয়ানস্টপ সেন্টারও তিনি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ওয়ানস্টপ সেন্টারের পরিকাঠামো এবং ব্যবস্থা সন্তোষজনক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে রাজ্যে মহিলাদের উপর বিভিন্ন ধরণের অত্যাচারও তুলনামূলকভাবে অনেক কমেছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, পসকো আইনের বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। মহিলাদের অধিকারের বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। মহিলা কমিশনের কাজ নারীদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে মানুষকে আরও বেশি করে যুক্ত করা ও নারীদের তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করা। তিনি বলেন, মহিলাদের উন্নতি না হলে রাজ্য ও দেশের উন্নতি হবে না। আগামীকালও তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান,মহিলাদের সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের আন্তরিকতা রয়েছে। অপরাধীদের ধরার দায়িত্ব পুলিশের এবং বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। সেটা জাতীয় মহিলা কমিশনের নয়। এক্ষেত্রে পুলিশকে মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য বলতে পারে জাতীয় মহিলা কমিশন আর জাতীয় মহিলা কমিশনের সেই অধিকার রয়েছে। কারণ প্রত্যেকেরই কাজের চৌহদ্দি রয়েছে। সেই চৌহদ্দির ভেতরে থেকেই কাজ করতে হবে। পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে সেটা ভালো বলতে পারবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ অধিকারিকরাই। তাই জাতীয় মহিলা কমিশন মহিলাদের জন্য কোন কাজ করে না সেটা বলা ঠিক না। মহিলাদের কল্যাণে জাকিয়া মহিলা কমিশন সবসময়ই কাজ করে বলে এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা ডক্টর অর্চনা মজুমদার।