
ফের দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্কনীতির কথা বলেছিলেন। এবং তার ফলপ্রসু গত ২ এপ্রিল তিনি নতুন হারে শুল্কের কথা ঘোষণা করেন। তালিকা দিয়ে জানান কোন দেশের পণ্যের উপর কত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের উপর চাপানো ২৬ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকর হল বুধবার থেকে।আর তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কায় বুধবার ভারতের শেয়ার বাজারে শুরু থেকেই ‘লাল’ সঙ্কেত! গত সোমবার বাজার বন্ধের সময় শেয়ার সূচক প্রায় ১১০০ পয়েন্ট মতো কম ছিল। মঙ্গলবার বাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও বুধবার সকাল থেকে তা আবার নিম্নমুখী। এখনও পর্যন্ত ৫০০-এর কাছাকাছি পয়েন্ট পড়েছে। আর সেই সময়েই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকেই শেয়ার বাজারে পতন লক্ষণীয়। কী ভাবে ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। ভারতের পক্ষে খুশির খবর ট্রাম্পের শুল্কনীতি থেকে বাদ পড়েছে বেশ কয়েকটি পণ্য! সেই তালিকায় রয়েছে তামা, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা ও রুপোর বাট, ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাঁচামাল। তবে এই সব পণ্য ছাড়া বাকি ভারতীয় পণ্যের উপর আরোপিত ২৬ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে বুধবার থেকেই। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার এবার কোন পথে হাঁটে, সকলের নজর সেই দিকে। সূত্রের খবর, আমেরিকার উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর পথে হাঁটবে না ভারত! তার পরিবর্তে মোদী সরকার আমেরিকা-ভারত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে।শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপরেও নেমে এসেছে শুল্ক-খাঁড়া। দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ট্রাম্প নতুন শুল্কনীতির কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যতটা শুল্ক চাপিয়ে থাকে, সেই দেশের পণ্যে পাল্টা তার উপযুক্ত শুল্ক চাপানো হবে। তালিকা দিয়ে জানান কোন দেশের পণ্যের উপর কত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা। তিনি যে ‘ঢিলের বদলে পাটকেল’ নীতিতে বিশ্বাসী, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করেছেন। তবে শুল্ক ঘোষণার পরও কিছু কিছু দেশের প্রতি ‘নরম’ মনোভাব দেখা গিয়েছে ট্রাম্পের। আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন তিনি। তাঁর দাবি, যদি কোনও দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক ছাড় দিতে রাজি থাকে, তবে তাঁর প্রশাসনও ভেবে দেখবে।