ত্রিপুরা খবর
img

দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা মধুপুর বাজারে

দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা মধুপুর বাজার সহ পার্শ্ববর্তী রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরে। চোরের দল এখন মন্দির মসজিদ এগুলিকে বেছে নিয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এসব পবিত্র স্থানে চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। 
 বৃহস্পতিবার সকালবেলা মধুপুর বাজার সংলগ্ন রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরের পুরোহিত যখন সে আশ্রমে আসে এমন সময় এসে দেখতে পায় আশ্রমের ঘরের দুই দিকে চোরের দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে টিন কেটে আশ্রমে প্রবেশ করে প্রণামী বাক্স ভেঙ্গে সম্পূর্ণ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় ।শুধু তাই নয় আশ্রমের মধ্যে থাকা একটি আলমিরা ভেঙ্গে সেখান থেকে পুজো দেওয়া পিতলের থালা গ্লাস নিয়ে যাই। এদিকে আশ্রম কমিটির সম্পাদক সকালবেলা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে আসে এবং এসে দেখতে পাই আশ্রমের ঘরের দুই দিকের টিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে চোরের দল প্রবেশ করে এই কাজ সংগঠিত করেছে। তবে তিনি ধারণা করেন স্থানীয়রা সেই কাজে জড়িত রয়েছে। এই বাক্সের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার অধিক রয়েছে বলে ধারণা। বলা বাহুল্য একাংশ যুবকরা ইদানিংকালে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কৌটার নেশায় বিভোর হয়ে মা বাবার কাছে টাকা না পেয়ে কোন কাজ না করে চুরির কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তারাও এই কাজ সংগঠিত করতে পারে। গত কয়েক বছর পূর্বেও সেই আশ্রমে চুরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মধুপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ছুটে যায় এবং একটি মামলা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য আগামী ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী রাম ঠাকুর সেবা মন্দির আশ্রমে বাৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর সেই উৎসবকে ঘিরে ভক্তরা প্রনামি বাক্সে টাকা দান করেছিল। আর এই মুহূর্তে চোরের দল প্রবেশ করে সেই টাকাগুলো নিয়ে চম্পট দেই। এদিকে একই রাতে মধুপুর বাজার নিউ ফ্যাশন একটি কাপড়ের দোকানে যার মালিক রয়েছে শান্তু দাস তার দোকানে হানা দেয় চোরের দল। দেখা যায় তার ঘরের টিনের ছাউনি কেটে এবং ঘরের একটি দরজা কেটে প্রবেশ করে যদিও ভিতরের দরজা লাগানো থাকার জন্য মূল ঘরে প্রবেশ করতে পারেনি। অল্পের জন্য বেঁচে যাই। পাশাপাশি একই দোকানের পাশে অন্য আরেকটি দোকানে টিনের ছাউনি কেটে ফেলে চুরের দল। এদিকে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মধুপুর বাজার থেকে হাতেগোনা কয়েক হাত ধরে রয়েছে মধুপুর থানা। যদিও পুলিশ রাতের বেলা টহলদারি অবস্থায় রয়েছে। তার পরেও কিভাবে চোরের দল মধুপুর বাজারে পরপর দুটি দোকানে হানা দিয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে। তবে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মধুপুর থানার পুলিশকে আরো সচেতন কিংবা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।