ত্রিপুরা খবর
img

ক্সনগর ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলা ও সুশাসন শিবির

রাজ্য সরকারের ঘরে ঘরে সুশাসন পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে প্রশাসনিক সুশাসন শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এই সুশাসন শিবিরের অঙ্গ হিসাবে বক্সনগর ব্লক অন্তর্গত দীর্ঘদিন যাবত সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জনগণের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সুশাসন শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গ্রাম স্তরের সকল  সুশাসন শিবির শেষে বক্সনগর আর.ডি ব্লকের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় বক্সনগর ব্লক প্রাঙ্গণের মাঠে ব্লকভিত্তিক সুশাসন ও কৌশল মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক জে. ভি.দোয়াতি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন,সোনামুড়া মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস,জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ কুমার সিং, বক্সনগর শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষচন্দ্র সাহা এবং বক্সনগর সমষ্টি উন্নয়নের আধিকারিক শান্তনু বিকাশ দাস।এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির মাননীয় চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার। প্রথমে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে বক্সনগর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সান্তনা বিকাশ দাস ব্লক অন্তর্গত ১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি এডিসি ভিলিজের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির খতিয়ান তুলে ধরেন। রাজ্য সরকারের সুশাসনের সমস্ত পরিষেবা সাধারণ মানুষ পেয়েছেন বলে দাবি করেন।এছাড়া আগামী দিনে এই ব্লকের সাধারণ মানুষের সরকারের সাধ্য অনুযায়ী পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং হজ কমিটির চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে সবকা সাথ সবকা বিকাশের মাধ্যমে ঘরে ঘরে  মানুষের উন্নয়ন পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন বিনিফিসারি গুলি যথেষ্ট স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আপনারা রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা এবং সরকারের পাশে থাকেন তাহলে আমরা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গড়ে তুলবো। এই সুশাসন শিবির ও কৌশল মেলায় এলাকার সমস্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা মানুষের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে পসরা সাজিয়ে স্টল বসেন। এই স্টল গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষি,বন, মৎস্য,বিদ্যুৎ,স্বাস্থ্য,পানীয় জল,স্বনির্ভর দল, শ্রমদপ্তর প্রভৃতি। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সমস্ত অতিথিরা মেলার সমস্ত স্টল গুলি পর্যবেক্ষণ করেন। যারা দপ্তরগুলি থেকে বেনিফিসারি পাবেন তাদের হাতে বিভিন্ন বেনিফিশারী অতিথিরা তুলে দেন।