
অবৈধ সম্পর্কের জেরে বিবাহিত মহিলা পূর্নিমা চক্রবর্তী ব্ল্যাকমেল শুরু করে অভিজিৎ সরকার নামে এক অবিবাহিত যুবককে। তাকে বিবাহিত অবস্থাতেই অভিজিতের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিজিতের উপর চাপ সৃষ্টি করে পূর্ণিমা। সেই মানুষের চাপ সহ্য না করতে পেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলো অভিজিৎ। ঘটনা দমদমিয়া গ্রামে।
আবারো এক সামাজিক অবক্ষয়ের নগ্নচিত্র ধরা পরল দমদমিয়া গ্রামে। ২১ বছর বয়সী অভিজিৎ সরকার বিগত দুই বছর যাবত একই গ্রামের বিবাহিত মহিলা পূর্ণিমা চক্রবর্তীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। জানা যায় পূর্ণিমা চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিজিতের নন্দননগরের একটি কালীবাড়িতে গোপনে বিয়ে হয়। পূর্ণিমা চক্রবর্তীর স্বামী সন্তোষ চক্রবর্তী এবং তার মা বাবা সবাই জানে অভিজিতের সঙ্গে তার এই পরকীয়ার বিষয়টি। তারা কোন সময় বাধা দেয়নি যার ফলে এই অবৈধ সম্পর্ক অনেকটা গভীরে চলে যায়। গত কিছুদিন আগে পূর্ণিমা চক্রবর্তী অভিজিৎকে তাকে তার বাড়িতে বা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু অভিজিৎ পূর্ণিমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। অবৈধ সম্পর্ক চলাকালীন অনেক ভিডিও রেকর্ডিং পূর্ণিমা চক্রবর্তী স্টোর করে রাখে। হুমকি দেয় যদি তাকে না নিয়ে অভিজিৎ নিজের বাড়িতে নিয়ে না যায় সেগুলি অন এয়ার ভাইরাল করে দেবে। চাপ সহ্য করতে না পেরে অভিজিৎ সরকার চলতি মাসের ৫ তারিখ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে জীবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন রাতে সে মারা যায়। এদিন তার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যায় তার পিরিজনরা। অভিজিৎ সরকারের বাবা আগেই মারা গিয়েছিলেন তার বাড়িতে তার মা ও এক বোন রয়েছে। তারা জানায় পূর্ণিমা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন।