
সিমনা বিধানসভার সিমনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে রেগার মাধ্যমে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ। এই কাজে মোট ৭০ জন রেগা শ্রমিক রয়েছেন। অভিযোগ রেগা শ্রমিকদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে প্রতিদিনের ৫০ টাকা হিসেবে। তবে তাদেরকে বলা হয়নি কতদিনের কাজ করানো হবে। তাদেরকে শুধু বলা হয়েছে প্রতিদিন এসে ফটো তোলার জন্য। এখানে কাজের তদারকির জন্য সরকার থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ম্যাটদের। যারা কাজের দেখভাল করবেন এবং রেগা শ্রমিকদের ফটো তুলে আপলোড করবেন। ৪ নং ওয়ার্ডের যাত্রী শেড থেকে দপ্তরিপাড়া পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডের জঙ্গল কেটে হালকা ড্রেন তৈরি করার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার বের হয়েছে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০০ মিটার হবে। কিন্তু কাজে নিয়োজিত সর্দাররা রেগা শ্রমিকদের কাছ থেকে ৮ দিনের হিসেবে ৪০০ টাকা করে নিয়েছে। ৭০ জন শ্রমিকের কাছ থেকে তোলা হয়েছে মোট ২৮ হাজার টাকা। আর এই কাজ করানো হচ্ছে দক্ষ কতিপয় শ্রমিক দিয়ে। রাস্তার দুপাশের জঙ্গল কেটে হালকা ড্রেন তৈরি করতে বড়জোর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচা হবে। আর শ্রমিকদের কাছ থেকে তোলা টাকার বাকি অংশটা সর্দাররা বন্টন করে নেবেন বলে অভিযোগ উঠলো। এই ক্ষেত্রে কাজের তদারকিতে থাকা মেট সুতপা সরকার সবকিছু জেনেও অন্যায় ভাবে রেগার কাজটিতে সরদারদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন কাজে নিয়োজিত সরদার এবং শ্রমিকরাই এইভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক রেগা শ্রমিক মহিলা জানান তারা কাজ করতে পারবেন না। তাই তিনি পঞ্চাশ টাকা করে দিয়েছেন কাজ না করে সরকারি টাকা হাতিয়ে নেবার উদ্দেশ্যে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কাজ ১২০০০ টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ করা যায় সেই জায়গায় রেগার নাম দিয়ে ৭০ জন রেগা শ্রমিককে আট দিন করে ২০০ টাকা হাজিরা দিয়ে কাজ করানোর কি মানে। এটাকি সরকারি টাকার আদ্য শ্রাদ্ধ করা নয়? মোহনপুর আর ডি ব্লকের সিমনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ৪ নং ওয়ার্ড সুন্দরটিলার সেড ঘর থেকে দপ্তরিপাড়া পর্যন্ত পূর্ত দফতরের রাস্তায় হালকা ড্রেন তৈরি করে গ্রামবাসীদেরই কি উপকার হবে বা সমাজেরই কি কাজে লাগবে এ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এইভাবে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে রেগার কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম জাঁকিয়ে বসেছে। এই বিষয়গুলিতে ব্লক কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত সচিবদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে যাতে রেগার যে উদ্দেশ্য "স্থায়ী সম্পদ গঠন করা"সেই উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করা হয়।