
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও মথা যুব নেতৃত্ব আস্থা রাখতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রীর উপর। আর তার ফলশ্রুতিতে উদয়পুর এসডিএম অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলো ওয়াইটিএফ। মাথার এই সরকারি অফিস শাটডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে উদয়পুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কিকরে তালা মথার সদস্যরা এসডিএম অফিসে তালা ঝুললো তানিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। এদিকে, গোমতী জেলা শাসক কার্যালয়ে তালা ঝুলাতে গিয়ে মথা কর্মীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। প্রতিরোধ গড়ে তুলে পুলিশ। এতে নিরাপত্তা কর্মী এবং তিপরা মথার যুব কর্মীদের মধ্যে প্রবল ধস্তাধস্তি হয়। তাতে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
২৬ মে প্রদ্যোত কিশোর দেবর্বমণের সাথে অভব্য আচরণ করেছেন গোমতী জেলার জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা। পরের দিনই মথার যুব সংগঠনের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার নিকট গোমতী জেলার শাসককে অপসারণের দাবি জানায় ওয়াইটিএফ। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে সোমবার জেলা শাসকের অফিস সহ জেলার সব অফিসে তালা দেবার ঘোষণা দেয় মথার যুব সংগঠন। যদিও এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে বলেছেন।সবার সম্মান যাতে বজায় থাকে,একটি সমাধানের পথ খুঁজবেন।কিন্তু দেখা গেল,এনিয়ে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই,মথার যুব সংগঠন ওয়াইটিএফ তাদের আন্দোলন ঘোষণা করে দিল।সোমবার গোমতী জেলার জেলাশাসকের অফিস সহ জেলার সবকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলো! তিপরা মথা বিরোধী দল নয়,শাসক দলের অংশ,সরকারে রয়েছে মথা। আর শাসক দলের হয়ে, সরকারি অফিসে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে,সাধারণ মানুষ হতবাক। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এটা কোন রাজনীতি? এনিয়ে জনমানসে আলোচনা সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।প্রদ্যোতের সাথে জেলাশাসক সাক্ষাৎ করেনি,তারজন্য প্রদ্যোতের পক্ষ হয়ে গলা ফাটিয়ে ছিল বাম কংগ্রেস দুই দলের নেতা।কিন্তু বাম কংগ্রেস নেতাদের এই প্রতিবাদের সুরও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ভাবে সমালোচিত হয়েছে।এরপর অবশ্য ঢোক গিলে নিয়েছে বিরোধী দলের নেতারা।মথার ডাকা এই আন্দোলন নিয়ে অবশ্য পক্ষ বা বিপক্ষে কোন কথা শোনা যায়নি বিরোধীদের তরফে। তবে মথার তরফে সরকারি অফিস শাট ডাউনের ঘোষণার প্রেক্ষিতে এদিন,
,আরক্ষা প্রশাসন কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রস্তুতি নিয়েছিল।আধা সামরিক বাহিনী,টিএসআর বাহিনী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল জেলাশাসকের অফিসের সামনে ব্যারিকেডও তৈরি করা হয়। রাজ্য পুলিশের বেশকিছু অভিজ্ঞ ও প্রবীণ অফিসারকে গোমতী জেলাতে রাজ্য পুলিশের তরফে পাঠানো হয়েছিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। কিন্তু এদিন পরিলক্ষিত হল জেলাশাসকের অফিসে তালা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ যেন সাজানো প্রতিরোধ গড়ে তুলল। সবকিছুই যেন হয়েছে সাজানো। ব্যারিকেড ভাঙা নিয়ে হল ধস্তাধস্তি নাটক। অবশেষে ১০ জন প্রতিনিধিকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল পুলিশ প্রশাসনের তরফে, এবং তারা ভেতরে গিয়ে জেলাশাসক অফিসে তালা মেরে দিল। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে শরিক দল হওয়ার পরেও একটি প্রধান সরকারি অফিসে একপ্রকার ইনভাইট করে যেভাবে তালা দেবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো তা কতটুকু যুক্তিসম্মত। সাধারণ মানুষ এই বিষয়টি ভালোভাবে নেই। পুলিশ আছে কারীদের বক্তব্য এখানে তৈরি করল ধোঁয়াশা। তিনি বলার চেষ্টা করলেন, প্রতিবাদ আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। আর এটা যেহেতু প্রতিকী তাই তাদের এই প্রচেষ্টাকে এলাও করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্দেশ ছিল সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন যাতে না হয় এবং জান মাল রক্ষারও দায়িত্ব ছিল পুলিশের উপর। তাই শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিকী আন্দোলন জাতীয় সম্পন্ন হয় তাই দশ জনকে তালা দেবার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে এলাও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ যদি বল প্রয়োগ করতে তাহলে আন্দোলন হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠতো বলে দাবি করলেন পুলিশ আধিকারিক। তাছাড়া অফিসের গেটে তালা দেওয়াটা ছিল সিম্বলিক। না হলে অফিস আদালত ঠিকভাবেই চলেছে বলে দাবি করলেন পুলিশ অধিকারিক।