
হাঁপানিয়া থেকে আটক ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়ে তারা ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে এমনটাই ধৃতদের বক্তব্য। এদের প্রত্যেকের পায়েই রয়েছে জখম। সবার পায়ে কেন জখম এই বিষয়টিও রহস্যজনক। পুলিশ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত জারি রেখেছে।
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ নিয়ে যখন রাজ্যে ঘোর তৎপরতা, এরই মাঝে হাঁপানিয়া থেকে আটক ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সেদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, আক্রমণ এখনো থামেনি। হিন্দু-খ্রিস্টান এমনকি সেখানে জনজাতি বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা এবং ত্রিপুরীদের উপর বরাবর চলছে হামলা-আক্রমণ। এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলি উপায়ান্ত না দেখে ভারত তথা ত্রিপুরায় প্রবেশকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যেও কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় সীমান্ত এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি থানা পুলিশ ও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা অতিমাত্রায় সক্রিয়তার সাথেই নজরদারি চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে হাঁপানিয়া বিশ্বাসপাড়া এলাকা থেকে ১২ জন বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে আমতলি থানার পুলিশ। আটক অনুপ্রবেশকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে , জীবন সুরক্ষার তাগিদেই তারা ভারতে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবাধে চলছে সংখ্যালঘু চাকমা ও ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ-হামলা-নির্যাতন। তারা সকলেই জানিয়েছেন স্ত্রী সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে জীবন রক্ষার্থেই ভারতে প্রবেশ করেছেন তারা। যদিও এবিষয়ে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে এখন এই অব্দি কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, হাঁপানিয়া বিশ্বাস পাড়াস্থিত নিত্যানন্দ বিশ্বাসের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। পুলিশ জানিয়েছে সমস্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হবে। সেই সাথে হাঁপানিয়া বিশ্বাস পাড়ার নিত্যানন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে কেন তারা এল, আর গৃহস্বামীর সাথে তাদের কিভাবে যোগাযোগ এবং কি সম্পর্ক সে বিষয়ে খোঁজখবর নেবে পুলিশ। কিন্তু ধৃত বাংলাদেশিদের ভাই প্রত্যেকের পায়ে রয়েছে ব্যান্ডেজ।প্রায় সবার এক পা কিভাবে জখম হলো সেটাও একটা রহস্য। এক্ষেত্রে পুলিশের দাবি গন্ডাছড়ায় যে বাড়িতে একটি ঘরে এই সন্দেহভাজনরা ছিল সেই ঘরটি আগুনে পুড়েছে। তাদের পায়ের জখম আগুনে পুড়েই হয়েছে দাবি পুলিশের। তবে তারা আদতেই কি তারা জীবন নিরাপত্তার তাগিদে রাজ্যে প্রবেশ করেছেন নাকি তাদের সাথে অন্য কোন জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা সন্ত্রাসের মদতদাতা কোন বাহিনীর যোগ সাজস রয়েছে সে বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে রইস্যাবাড়ি ভারত বাংলা সীমান্ত অতিক্রম করে এরা কিভাবে প্রবেশ করলো সেটাও রহস্য। এক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর টহলদারি নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।