ত্রিপুরা
img

রাজ্যেও সন্ধান পাওয়া গেল একজন কোভিড রোগীর

রাজ্যেও কোভিড আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। সাব্রুমের কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ওই কোভিডড আক্রান্ত ব্যক্তি। রাজ্জাক কোভিড আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলায় আবারো নতুন করে করোনা আতঙ্ক দেখা দিল। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক এব্যাপারে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন। অপরদিকে জানা গেছে দেশে দ্রুত কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই
দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানা গেছে।


 সুস্থ হচ্ছেন মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন উপসর্গ মৃদু। বর্তমান সময়ে করোনার এই ঢেউ নিয়ে এখনও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে  সংক্রমণের হার। গত কয়েকদিনে দ্রুত গতিতে বেড়েছে দেশের সংক্রমণ।এবার এই রাজ্যেও এক কোভিড আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল। তার নাম দীপক চেতিয়া। এই রাজ্যে তিনি ওএনজিসিতে কর্মরত। কয়েক দিন আগে আসামের জোরহাট থেকে তিনি তার কর্মক্ষেত্র সাব্রুম কলাছড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু আসার পরে তিনি গুরুতর ভাবে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন।এরপরই তাকে সাব্রুমের কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যাওয়া হয়। তার নমুনা  পরীক্ষা করার পর,চিকিৎসক নিশ্চিত হয় তিনি করোনা আক্রান্ত। তার পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাকে আইসোলেটেড করা হয়েছে। কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যেও কোভিড আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে এই সংবাদে অনেকেই ভীত হয়ে পড়েছেন। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছে।এদিকে সাব্রুমের কলাছড়ায় কর্ম ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত দীপক বাবুর সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে ।এনিয়ে  স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নিদিষ্ট নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। 
প্রসঙ্গত,২৬ মে যেখানে গোটা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০১০, সেখানে ৩০ মে এই সংখ্যা  পৌঁছয় ২৭১০-এ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৩৯৫। একদিনেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৮৫জন। জুনের প্রথম দিনের আক্রান্ত প্রায় চার হাজার। ২ জুনের কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৬১। ৩ জুন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্ত চার হাজার পার, সংখ্যা ৪০২৬।  ইতিমধ্যেই ভারতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৭। অন্যদিকে, মঙ্গলবার গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪,০২৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ জন। তবে একদিনে একসঙ্গে একাধিক কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু ভয় ধরাচ্ছে।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে গুজরাটে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। অন্যদিকে, কেবল গুজরাটে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৭২। এর পরেই একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে কর্নাটক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর সন্ধান মিলেছে।তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে কেরল। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১৬ জন। এর পরই স্থান মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৯৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট, চতুর্থ দিল্লি। সেখানে যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েক জন রোগী সেরে ওঠায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে  উত্তর পূর্বাঞ্চলেও। আসামে এবং মনিপুরে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এবার রাজ্যেও মিলল কোভিড আক্রান্ত রোগী। যদিও তার ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। এক্ষেত্রে সংক্রামিত হয়েই তিনি রাজ্যে এসেছেন বলে জানা গেছে। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যেহেতু রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, সেহেতু সংক্রমনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে কেউ, তা এখনো সরাসরি স্বীকার না করা হলেও, গোটা রাজ্যের এই বিষয় নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে রাজ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই বললেও সব জায়গাতেই সতর্কতা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে।