ত্রিপুরা
img

অম্বাবুচিকে কেন্দ্র করে সিঁদুর খেলা

অম্বুবাচী, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অমাবতী বলেও পরিচিত। ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব, রজঃউৎসব নামেও পালিত হয়। অম্বুবাচী তিথি শুরু হয়েছে রবিবার ২২ জুন অর্থাৎ ৭ আষাঢ় দুপুর ২/৫৭ মিনিটে এবং ২৫ জুন অর্থাৎ ১০ আষাঢ় রাত ৩/২১ মিনিটে এর  সমাপ্তি হবে। অম্বাবুচিকে ঘিরে আগরতলার লক্ষীনারায়ণ বাড়িতে মহিলারা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দিতে দেখা যায়। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর যেন অক্ষয় হয় এই ধারণাতেই একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছে মহিলারা। অম্বাবুচি কে কেন্দ্র করে লক্ষীনারায়ণ বাড়িতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। এমনকী পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে। মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হোন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু আচার অনুষ্ঠান। এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। কোনও শুভ কাজও এই কয়েকদিন নিষিদ্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, অম্বুবাচী চলাকালীন কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়।  অম্বুবাচীর তিনদিন পর ফের কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়।