ত্রিপুরা
img

ধর্ষনের চেষ্টা: থানায় মামলা

ভাড়াটিয়া ১১ বছরের নাবালিকার  উপর পাশবিক লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা,অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে থানায় মামলা।ঘটনা বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় এবং অভিযুক্তের নাম লিটন দেবরায়।


বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার মৃত পিয়ারী মোহন দেবরায়ের বাড়িতে ভাড়া থাকেন একটি পরিবার এবং তাদের ১১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।সেই বাড়ির এক ছেলে মধ্য বয়স্ক লিটন দেবরায় গতকাল এই নাবালিকাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশবিক লালসা অর্থাৎ ধষনের চেষ্টা করে এবং  নাবালিকার মা বাবার সতর্কতার কারণে রক্ষা  নবালিকাটি।এই ঘটনায় অভিযুক্ত লিটন দেবরায়ের কঠোর শাস্তির দাবিতে তার বিরোদ্ধে বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা করে নাবালিকার পরিবার।নাবালিকা ও তার পরিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানান পুরো ঘটনা।অন্যদিকে অভিযুক্ত লিটন দেবরায় নাবালিকার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে পুলিশে মামলা না করা হয়।সূত্র মারফত জানা যায় এই লিটন দেবরায় একজন কুখ্যাত চোর,একাধিক বার জেলও খেটেছেন,তার বিরোদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং এয়ারপোর্ট থানায় সে ধরা খেয়ে জেলে যায়,মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকায় অনেক অভিযোগ তার বিরোদ্ধে তার এই সকল কারণে নিজের স্ত্রী সন্তান তাকে ছেড়ে চলে গেলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি এই নরপিশাচের উপর।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এবং নাবালিকার পরিবার সহ এলাকাবাসী তার কঠোর শাস্তির দাবি জানান।অন্য দিকে থানাতে থাকাকালীন নাবালিকার মা'কে ফোন করে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং এর মধ্য দিয়ে সে শিকার করে সে এই  ঘটনা সংগঠিত করে। নাবালিকাটির পরিবার খুব অসহায় এখন দেখার পুলিশ কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন এই নরপিশাচকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাবস্থা করে ।শারীরিক ভাবে শ্লীলতাহানী করা অভিযুক্ত  লিটন দেবরায়ের শাস্তির দাবিতে শাসক, বিরোধী,মহিলা মোর্চা,নারী সমিতি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না,লক্ষ্যণীয় থাকবে শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়েও।