ত্রিপুরা
img

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদী নেত্রীর মৃত্যু,

ছত্তিশগড়ের  কাঙ্কের জেলার অমাতোলা ও কালপারের মাঝামাঝি জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় শুক্রবার সকালে নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে এক নারী মাওবাদী নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলি চলেছে এবং নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি অভিযান এখনো চলছে।

 

গুলির লড়াইয়ে এক নারী মাওবাদী নিহত ।ছত্তিশগড়ের  কাঙ্কের জেলার গুলির লড়াইয়ের নিহত হয়েছেন এই মাওবাদী নারী নেত্রী।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা রিজার্ভ গার্ড ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-এর একটি যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। ছোটেবেথিয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বাহিনী অভিযান শুরু করে। সেই সময়ই মাওবাদীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বাহিনী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিনেশ সিনহা বলেন, একটি ইউনিফর্ম পরা নারী মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। এখনও গুলির লড়াই চলছে এবং বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।এই সংঘর্ষস্থল ‘মাড়’ অঞ্চলের সীমানায় অবস্থিত, যা দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের গড় হিসেবে পরিচিত। দুর্গম ভূপ্রকৃতি কাজে লাগিয়ে তারা এখানে লজিস্টিক করিডোর গড়ে তুলেছে। এই অঞ্চলে বারবার মাওবাদী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের দাবি, ছোটেবেথিয়া এলাকায় এই অভিযান মাওবাদীদের জন্য বড় ধাক্কা, এবং এটি বস্তার ডিভিশনে মাওবাদী দমনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই অভিযানের আগেই ছত্তিশগড়-আন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। মাড়েদপল্লি এলাকায় গ্রেহাউন্ড বাহিনী তিনজন শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে নিকেশ করে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গজারলা রবি। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। এবং স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য অরুণা। চলপতি নামে কুখ্যাত এক মাওবাদী নেতার স্ত্রী ছিলেন তিনি।, যার মাথার দাম ছিল ২০ লক্ষ টাকা।
অন্ধ্রপ্রদেশ আল্লুরি সীতারাম জেলার পুলিশ সুপার অমিত বারদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিনের সংঘর্ষে নিহত নারী মাওবাদীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তিনিও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । অভিযানের অগ্রগতি অনুযায়ী আরও তথ্য সামনে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ধারাবাহিক অভিযানগুলি স্পষ্ট করছে যে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েছে—শুধু নীচু স্তরের গেরিলা নয়, শীর্ষ নেতৃত্বকেও নিশানা করা হচ্ছে।