ত্রিপুরা
img

চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি


২০১৮ সালের পর আবার নতুন করে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের মজুরি হয়েছে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের মজুরি হয়েছে ১০২ টাকা। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে তথ্য দিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়।চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার, সর্বশেষ সংশোধিত এবং বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে, প্রাপ্তবয়স্ক দের ১০৫ টাকা থেকে ১৭৬ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দের ৫২.৫০ টাকা থেকে ৮৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।সম্প্রতি, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সংশোধনের দাবির ভিত্তিতে রাজ্য সরকার, ৪৬-সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা শ্রীমতী স্বপ্না দাস পালের সভাপতিত্বে, ছয় মাসের জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ত্রিপুরার চা বাগানের কর্মসংস্থানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সুপারিশ করার সময় এই কমিটিকে সমস্ত দিক বিবেচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত বিদ্যমান সকল ধরণের কাজের ধরনগুলিও বিবেচনা করবে।তদনুসারে, উক্ত কমিটি গত ২৮ মে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সংশোধন এর জন্য শ্রীমতী স্বপ্না দাস পালের সভাপতিত্বে ও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিথিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ত্রিপুরা চা উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শ্রী সমীর রঞ্জন ঘোষ, আমন্ত্রিত সদস্য শ্রী সঞ্জয় বাগচী, সচিব, সুরমা ভ্যালি শাখা ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন  শিলচর, আসাম এবং জয়দেব সরকার, সভাপতি, কেকে নগর টিএসএসএস. লিমিটেড।উক্ত কমিটি সার্বিক দিক বিবেচনা করে, রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকের স্বার্থে, ন্যূনতম মজুরির হার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে, অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ১৭৬ টাকা থেকে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ৮৮ টাকা থেকে ১০২ টাকা। পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত সুপারিশমূলে রাজ্য সরকার নিম্নে উল্লেখিত হারে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির অনুমোদন প্রদান করেছে।