ত্রিপুরা
img

শাহজাহান ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করলেন বিল্লাল মিয়া

মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর, মানহানিকর এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ভিডিও পোস্ট করেছে কংগ্রেস যুবনেতা সাহাজান ইসলাম। এই অভিযোগ নিয়ে শাজাহান ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি বিল্লাল মিয়া। তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন স্বাস্থ্যের দাবি জানালেন তিনি।

মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর, মানহানিকর এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ভিডিও পোস্ট করেছে কংগ্রেস যুবনেতা সাহাজান ইসলাম। এই অভিযোগ নিয়ে শাজাহান ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি বিল্লাল মিয়া। এদিন তিনি দলীয় কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আগরতলা পশ্চিম থানায় শাহজাহান ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ৮ জুন অর্থাৎ রবিবার রাজধানীর শান্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান ইসলাম, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছে। পাশাপাশি বিল্লাল মিয়া অর্থাৎ বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হিসেবে তাকেও কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছে শাজাহান ইসলাম। বিল্লাল মিয়ার দাবি বাকস্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়াবার জন্য শাহজাহান ইসলামের এই ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।  শাহজাহান ইসলামের ভিডিওতে দেওয়া বক্তব্যগুলো অত্যন্ত উস্কানিমূলক। তার এই উগ্র বক্তব্য সমাজের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং বিশেষ করে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর শত্রুতা তৈরি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি শাজাহান ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে দাঙ্গা শুরু করার জন্য উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করলেন বিল্লাল মিয়া। তার আরো দাবি, শাহজাহান ইসলামের এই  উস্কানিমূলক বক্তব্য ত্রিপুরার মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে।তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার পাশাপাশি সে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনকে  মুসলিম বিজেপি কর্মীদের সাথে সমস্ত  সামাজিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে যার মধ্যে তিনিও রয়েছেন বলে জানালেন বিল্লাল মিয়া। তার কথায়, শাহজান ইসলাম তার লাইভ ভিডিওতে বলেছেন,  বিজেপি-সমর্থিত মুসলিম বা তাদের পরিবারের সদস্যরা মারা গেলেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ তাদের সাহায্য করবে না, তাদের জানাজায় যোগ দেবে না বা তাদের মৃতদেহ দাফনের জন্য জমি না দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক বয়কট, ধর্মীয় অবমাননা এবং মৌলিক মানবাধিকার কেড়ে নেবারও আহ্বান জানিয়েছে সে। এটা বিশাল বড় অপরাধ বলে দাবি করলেন বিল্লাল মিয়া। তার আরো দাবি, অভিযুক্ত শাহজান ইসলাম একজন পুরনো এবং অভ্যাসগত অপরাধী। সহিংসতার সাথে জড়িত থাকার জন্য তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যে ভিডিওটি পোস্ট করেছে তা বেআইনি আচরণের একটি ধারাবাহিক নমুনা। তার এই ভিডিও'র বক্তব্য ইতিমধ্যেই যে ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে, তার জন্য ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রাদুর্ভাব রোধে জরুরি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ওই ভিডিওতে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকেও ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করে মিথ্যা, বিদ্বেষপূর্ণ এবং মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছে বলা দাবি করলেন বিল্লাল মিয়া। এক্ষেত্রে শাহজাহানের  বক্তব্য তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি  রাজনৈতিক অবস্থানকে অসম্মানিত করেছে। সে ভারতীয় জনতা পার্টির  সাথে যুক্ত সমস্ত মুসলিম কর্মীদের অপমান ও উপহাস করেছে, সে রাজ্যে বসবাসকারী সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কেই বিশ্বাসঘাতক বলেছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তাকে বাটপার, বিজেপি দলের দালাল, মুনাফিক এবং আরও বেশ কিছু অবমাননাকর শব্দ বলেছে যা জনসাধারণের চোখে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে এদিন সাংবাদিকদের সামনে দাবি করলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি বিল্লাল মিয়া। আচ্ছা তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা বলেই জানালেন বিল্লাল মিয়া। 
শাহজাহানের এই ধরণের ঘৃণ্য, বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং অমানবিক বক্তব্য কেবল যে কোনও সভ্য সমাজের বিবেকেই মর্মাহত করে না বরং স্পষ্টতই ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক বৈরিতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্প্রীতি ও শান্তির ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। 
এক্ষেত্রে তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি বিধান করা প্রয়োজন বলে দাবি করলেন বিজেপির মাইনোরিটি মোর্চার সভাপতি।