
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য দায়ী বিজেপি। এ রাজ্যে কেউ নিরাপদ নয়। তাই বিধায়কদের উপর হামলা করতে পিছপা হয় না শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তরা। তার প্রমান পাওয়া গেছে রবিবার রাতে। কংগ্রেসের ছাত্র যুবনেতার বাড়িতে এই রাতে হয়েছে হামলা। সেখানে পরিস্থিতি সামলাতে গেলে কংগ্রেস নেতা সুদীপবাবু এবং আশীস বাবুর উপর আক্রমণ করার হয়েছে। বিজেপি সরকার সন্ত্রাসকে আশ্রয় করে টিকে থাকতে চাইছে শাহজাহান ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুর ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণতে আনতে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আসলে বিজেপি সরকার সন্ত্রাসকে পুঁজি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। রবিবার রাতে মসজিদ পট্টি এলাকায় কংগ্রেসের ছাত্র যুব নেতার বাড়িতে দুষ্কৃতিকারীর হামলা ঘটনায় এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। রবিবার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাতে গতকাল রাতে কংগ্রেস যুবনেতা শাহজাহান ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। একদল দুষ্কৃতকারীরা তার বাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করেছেন। এমনকি, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। তাদের উপর আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে। ওই ঘটনা অত্যন্ত বর্বরোচিত। এই ঘটনাই স্পষ্ট যে ত্রিপুরার আইনের শাসন নেই।তার কথায়, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে বিজেপির একাংশ নেতৃত্বরা বিরোধী দলের নেতৃত্বদের ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে থাকেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের এই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণের কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না। শাসক দলের কাউকে কিছু সমালোচনা করে বললে পান থেকে চুন খসে না সমালোচনাকারীর বাড়িতে হামলা হয়ে যায়, বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আসলে বিজেপি সরকার সন্ত্রাসকে পুঁজি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে, বলে দাবি তার।